পুরোটাই হয়েছে তাঁর অগোচরে। তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে, তিনি ডালে ডালে চললেও পাতায় পাতায় চলেছে খোদ তাঁরই ভাইপো। হ্যাঁ, ভাইপো অজিত পাওয়ারের কলকাঠি নাড়ায় যে সরকার গঠন হতে চলেছে রাজ্যে, সেটা জানতেনই না এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। শনিবার সকালে টুইট করে নিজেই সে কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, এদিন সাতটায় ঘুম থেকে উঠেই তিনি জেনেছেন যে, একটু পরই দেবেন্দ্র ফডনবিশ ও অজিতের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে চলেছে রাজভবনে। অন্যদিকে, অজিত ও তার ঘনিষ্ঠ এনসিপি বিধায়কদের সমর্থনে বিজেপি মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে ফেলায় হাঁ হয়ে যায় শিবসেনা শিবিরও। সকলেরই এক প্রশ্ন, কীভাবে এমন ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করার সাহস দেখালেন অজিত? এবার এই বিষয়েই এক নতুন তথ্য সামনে আনলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত।
আজ রাউত এই দাবি করেন যে, অজিত পাওয়ার ও এনসিপির অন্যান্য বিধায়কদের ব্ল্যাক মেইল করে সমর্থন আদায় করেছে বিজেপি। তা ছাড়া এ জিনিস সম্ভব নয়। একসময় এনসিপিতে ফিরে আসতেও পারেন অজিত পাওয়ার। তিনি এ-ও জানান, অজিতের সঙ্গে মোট ৮ বিধায়ক গিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৫ জন ইতিমধ্যেই দলে ফিরে এসেছেন। এদের মিথ্যে বলে বিপথে চালনা করা হয়েছিল। এরপরেই বিজেপির উদ্দেশ্যে রাউতের চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতা থাকলে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে দেখাক বিজেপি। আমরা ধনঞ্জয় মুন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। কেন অজিত পাওয়ারকে ব্ল্যাক মেইল করেছিল তা শীঘ্রই দলের মুখপত্র সামনায় ফাঁস করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।