আর কোনও বাধা নেই। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত। চলতি মাসের শেষেই সরকার গড়বেন তাঁরা। বুধবার শিবসেনার তরফে এ কথা জানিয়েছিলেন দলের সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তখনই বোঝা গিয়েছিল, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে বদ্ধপরিকর শিবসেনা। এবার এনসিপিতে নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতে গিয়ে গভীর রাতে দেখা করলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ও তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরে। সূত্রের খবর, সেখানে এক জরুরি বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে।
জানা গেছে, সরকার গঠনের পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে পারেন উদ্ধব ঠাকরে। একইসঙ্গে তিনি শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের নেতৃত্বও দিতে পারেন বলেও শিবসেনা সূত্রে খবর। শোনা যাচ্ছে, এই জোটকে ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি’ অর্থাৎ মহারাষ্ট্র বিকাশ আন্দোলন (উন্নয়ন ফ্রন্ট) বলে উল্লেখ করেছেন উদ্ধব। তবে উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হলে তার মেয়াদ আগামী পাঁচ বছর থাকবে নাকি আড়াই বছর পরে এনসিপি-কে ওই পদ হস্তান্তর করা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।
যদিও শিবসেনা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, পূর্ণ মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই তারা উদ্ধব ঠাকরেকে দেখতে চায়। তাই এ বিষয়ে যাতে কংগ্রেস ও শিবসেনা একমত হতে পারে, সে বিষয়ে আজ, শুক্রবার আলোচনাতেও বসার কথা তাদের। সম্ভবত, সে বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন পাওয়ার আশাতেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন উদ্ধব ও আদিত্য। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এবং এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ২৮৮ বিধানসভার মহারাষ্ট্রে ১০৫টি আসন পেয়েছে বিজেপি, শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি এনসিপি পেয়েছে ৫৪টি ও কংগ্রেস পেয়েছে ৪৪টি আসন। ফলে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারায় সে রাজ্যে অচলাবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে সেখানে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই নানা রকম জল্পনা শোনা যাচ্ছিল।
আদর্শগত ভাবে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে থাকা শিবসেনার সঙ্গে জোট বাঁধার ব্যাপারে কংগ্রেসের একাংশের ছুৎমার্গ থাকার জন্যই শিবসেনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল কংগ্রেস। তবে শেষমেশ সব ছুৎমার্গ সরিয়ে আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বৈঠকে। সেনা ও এনসিপির সূত্রের দাবি, সব কিছু ঠিকঠাক চললে রবিবার বা সোমবারও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। জানা গেছে, নতুন জোট তৈরি হলে কৃষি উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য পরিকল্পনার উপর জোর দেবে শিবসেনা।