দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে গত ৩১ আগস্ট আসামে প্রকাশ পেয়েছে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। যাতে বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। এরপর থেকেই এনআরসি ইস্যুতে দেশ জুড়ে জল্পনা তুঙ্গে। রাজ্যের মানুষের মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্ক বাড়তে দেখে প্রায় প্রতিদিনই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যের যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই তিনি এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন যে, বাংলায় এনআরসি হবে না।
এই পরিস্থিতিতে আজ সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, শুধু আসাম নয়, গোটা দেশ জুড়েই এনআরসি হবে। যার ফলে এনআরসি নিয়ে ফের তরজায় বিজেপি-তৃণমূল। রাজ্যসভায় শাহের এনআরসি বক্তব্যের পর পরই মুর্শিদাবাদের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘এ রাজ্যে এনআরসি হবে না। একটা লোককেও আমরা এখান থেকে বিতাড়িত করতে দেব না।’
প্রসঙ্গত, সংসদের চলতি অধিবেশনে রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। তার আগে বুধবার এনআরসি প্রসঙ্গে আলোচনা করতে রাজ্যসভায় আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, ‘ভারতের সব নাগরিকের জন্যই এনআরসি তালিকা হবে। সবার নামই যুক্ত হবে এনআরসি তালিকায়। কোনও ধর্ম, অঞ্চলের ভিত্তিতে এনআরসি করা হচ্ছে না। নাগরিকত্ব বিলের থেকে ভিন্ন এনআরসি।’
এদিকে, একই সময়ে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে প্রশাসনিক সভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এনআরসি প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এনআরসি নিয়ে কেউ কেউ মিথ্যা ছড়াচ্ছে। মনে রাখবেন বাইরের কারোর কথা বিশ্বাস করবেন না। এনআরসি হবে না। প্রত্যেকেই এ দেশের নাগরিক। একটা লোককেও বিতাড়িত করতে দেব না। এটা মাথায় রাখবেন।’ আসামে এনআরসির জেরে ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ যাওয়া নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন মমতা। বলেন, ‘অস্থায়ী জেলে রাখা হয়েছে ওদের। বাংলায় এসব হবে না।’