সাংবিধানিক এক্তিয়ার থেকে বেরিয়ে রাজ্যে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে জগদীপ ধনখড়কে। এ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। নাম না করে রাজ্যপালকে ‘বিজেপির মুখপাত্র’ বলেও তোপ দেগেছে রাজ্যের শাসক দল। এবার সংসদের ভিতরেও রাজ্যপালের সমালোচনায় সরব হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভায় রাজ্যপালের গতিবিধিতে সাংবিধানিক অঙ্কুশ পরানোর দাবি তোলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। একই সঙ্গে এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় আলোচনার দাবি জানিয়েও অনুমতি মেলেনি বলেন অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আজ, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে চলতি লোকসভার প্রথম শীতকালীন অধিবেশন। ভারতীয় সংসদের এটি ২৫০তম অধিবেশন। এই উপলক্ষে এদিন সংসদে সব রকম আলোচনার জন্য সরকার প্রস্তুত বলে বিরোধীদের বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে তাতে যে চিঁড়ে ভেজেনি, এদিন তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন সুখেন্দু শেখর রায়। রাজ্যসভায় তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা চেয়ে আবেদন জানালেও অনুমতি পাইনি। আমি নিজে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সুযোগ মেলেনি।’ এর পরই নাম না করে রাজ্যপালের গতিবিধি নিয়ে সরব হন তিনি।
সুখেন্দু শেখর বলেন, ‘বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাজ্যপালকে কেন্দ্রের এজেন্ট বলছে সাধারণ মানুষ। রাজ্যপাল একটি একটি অরাজনৈতিক পদ। কিন্তু সেই পদকে কেউ কেউ রাজনীতি করার জন্য ব্যবহার করছেন। নিজের কর্মসূচী সম্পর্কে রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রয়োজন মনে করছেন না অনেকে। কারও রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকলে তিনি রাজনীতিপাল হোন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্যপাল হয়েছেন কেন?’ রাজ্যপালের গতিবিধির ওপর কী করে সাংবিধানিক বিধিনিষেধ আরোপ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।