অশান্তির আগুন এখনও নেভেনি বিজেপিশাসিত মণিপুরে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য ২০২৩ সালের মে থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত। মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হয়েছে সে’রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার ও মোদী সরকার। মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ২০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। গোষ্ঠী সংঘর্ষে আবারও উত্তপ্ত মণিপুর। রবিবার সকালে পশ্চিম ইম্ফলের কাংপোকপি জেলা সংলগ্ন কৌত্রুক গ্রামে একদল বন্দুকবাজ হামলা চালায়। বাড়ি লক্ষ্য করে, তারা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। পাল্টা দেয় ভিলেজ গার্ডরা। দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কমপক্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। হিংসার আগুন পার্শ্ববর্তী কাদাংবান্দ এবং সেঞ্জাম চিরাং গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ হতেই ফের নতুন করে মণিপুরে অশান্তি ছড়ায়। গভীর রাতে বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেনায় আচমকা হামলা চালায় কুকি জঙ্গিরা। প্রাণ হারান দুই সিআরপিএফ জওয়ান। তারপর রবিবার নতুন করে গোষ্ঠী সংঘর্ষের সাক্ষী থাকল কৌত্রুক গ্রাম। মণিপুরের দুই লোকসভা আসনে দু’দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। ১৯শে এপ্রিল ছিল প্রথম দফার নির্বাচন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুরের ১৩টি পোলিং স্টেশনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ২৬শে এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় আউটার মণিপুরের বাকি ১৫টি জায়গায় ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তির খবর আসে। তার জেরেই মঙ্গলবার আউটার মণিপুর লোকসভার ছ’টি বুথে ভোট বাতিল করে, আউটার মণিপুরের ওই ছ’টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ওই ছ’টি বুথে নতুন করে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৩০শে এপ্রিল। প্রথম দফার ভোটের পরও মণিপুরের ১১টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।