ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রত্যাশা অনুযায়ী রান করতে দেখা যায়নি মায়াঙ্ককে। কিন্তু ঘরের মাঠে ফিরতেই এক নতুন মায়াঙ্ককে চিনল ক্রিকেটবিশ্ব। প্রথম টেস্টেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাডা, ভার্নন ফিল্যান্ডারের বিরুদ্ধে ২১৫ রান করে দলে স্থায়ী জায়গা করে নেন তিনি। তার এক মাসের মধ্যেই শুক্রবার ইন্দোরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩৩০ বলে ২৪৩ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস উপহার দিয়ে গেলেন। মায়াঙ্কের এই পরিণত ইনিংস দেখে মুগ্ধ প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। মুগ্ধ দিলীপ বেঙ্গসরকর।
দিলীপ জানালেন, “মায়াঙ্কের মধ্যে রানের খিদে লক্ষ্য করেছি। উইকেট ছুড়ে আসার প্রবণতা নেই। অবশ্যই ও খুব আগ্রাসী। কিন্তু শট বাছাইয়ে কোনও গাফিলতি নেই।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এক জন ওপেনারই দলের ভিত তৈরি করে। মায়াঙ্ক সেই কাজ সহজেই করছে। দলের ওপেনার যখন নতুন বলের পালিশ নষ্ট করার সঙ্গেই রান বাড়ানোর কাজ করে, তখন দলও উপকৃত হয়।’’
ভারতীয় ওপেনারকে ছয় মেরে ডাবল সেঞ্চুরি করতে দেখে তৃপ্ত নির্বাচক কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান। বলছিলেন, ‘‘এই মনোভাবই বুঝিয়ে দিয়েছে ও কতটা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিন্তু রান করা সহজ নয়। কারণ, তুলনামূলক সহজ বিপক্ষের বিরুদ্ধে বড় শট খেলার প্রবণতায়আউট হওয়ার সুযোগও বেশি তৈরি হয়। মায়াঙ্ক কিন্তু সেই ভুল করেনি।’’
ভারতের মাটিতে ওপেনারদের সে রকম হয়তো পরীক্ষা দিতে হয় না। কিন্তু বিদেশে সেই কাজটা সহজে করা যায় না। বেঙ্গসরকর মনে করেন, মায়াঙ্ক যদি এই ছন্দে এগোতে থাকেন, তা হলে বিদেশেও ব্যর্থতার আশঙ্কা থেকে বেরিয়ে আসবে ভারত। বললেন, ‘‘ওর টেকনিক আঁটসাঁট। নতুন বলের বিরুদ্ধে শরীরের অনেক কাছে ডিফেন্ড করে। যতই শরীরের বাইরের বল খেলতে যাবে, তত আউট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।’’