এশিয়া চ্যাম্পিয়নকে রুখে দিয়ে সমর্থকদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিম্যাচের ভারত। কিন্তু বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের পরবর্তী দু’টি ম্যাচে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ড্র করে ভারত পরবর্তী পর্বে যাওয়ার কাজ ক্রমশই কঠিন করে তুলেছে। প্রথম ম্যাচে আনাসরা ঘরের মাঠে এগিয়ে গিয়েও ওমানের কাছে হেরে গিয়েছিল। তাই চার ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেয়ে ‘ই’ গ্রুপে চার নম্বর স্থানে আছেন সুনীল ছেত্রীরা। আগামী মঙ্গলবার ওমানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ। দুশানবেতে বৃহস্পতিবার রাতে খেলে দলটি রওনা হয়েছে মাসকটের পথে। আগামী ম্যাচের আগে দলে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে চলেছেন স্টিম্যাচ।
হতাশ ভারতীয় দলের কোচ শুক্রবার বলেছেন, ‘‘বেশিরভাগ ফুটবলারেরই বয়স কম। অনেকই নতুন। আমি খুশি পিছিয়ে থেকেও পরপর দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোয়।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘আমার হাতে অনেক ভাল ফুটবলার আছে। তাই ওমানের বিরুদ্ধে একেবারে নতুন দল নামাতে ভয় পাচ্ছি না।’’
পরবর্তী পর্বে যাওয়ার নিয়মটা ঠিক কেমন? পরের পর্বে যাওয়ার নিয়মটা কি? আটটি গ্রুপ থেকে মোট বারোটি দল পরের রাউন্ডে যাবে। গ্রুপের প্রথম আটটি দল যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। সঙ্গে চারটি দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেরা দল যাবে পরের পর্বে। কাতার ২০২০ বিশ্বকাপের সংগঠক দেশ, তাই তারা যদি গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে যায়, তা হলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর একটি দল অর্থাৎ মোট পাঁচটি দল যাবে। ভারতের গ্রুপের যা অবস্থা, তাতে ইগরের দলের রানার্স হওয়া একেবারেই সহজ নয়।
এখন প্রশ্ন একটাই ভারত কি কোনও অঙ্কেই পরের পর্বে যেতে পারবে? খাতায়-কলমে সম্ভাবনা বেঁচে থাকলেও তা বাস্তবায়িত হওয়া কঠিন। কারণ, বাকি চারটি ম্যাচের সব ক’টিতে জিততে হবে সুনীলদের। ১৯ নভেম্বর ওমানের বিরুদ্ধে খেলার পরে সুনীলদের প্রতিপক্ষ কাতার (ঘরের মাঠে), আফগানিস্তান (ঘরের মাঠে), বাংলাদেশের (বাইরে) বিরুদ্ধে। চার ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট ৩। সেখানে কাতার (১০ পয়েন্ট) এবং ওমান (৯ পয়েন্ট) অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আফগানিস্তানও (৪ পয়েন্ট) ভারতের আগে। পিছনে একমাত্র বাংলাদেশ (১ পয়েন্ট)। বাকি সব কটি ম্যাচ জিতলে ভারতের পয়েন্ট হবে ১৫।