‘বুলবুল’এ বিধস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গ। তবে মমতার আগাম ব্যবস্থাপনায় রেহাই পেয়েছে বড় ক্ষতির থেকে। তবে তাও কিছু ক্ষতি এড়ানো যায় নি। এইবার সেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে তৎপর হচ্ছে মমতার সরকার। বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জন্য বিকল্প চাষের পরিকল্পনা তৈরি করছে রাজ্য সরকার। এই পরিকল্পনা তৈরি করা হবে কৃষি দপ্তরের রিপোর্ট অনুসারে।
দপ্তরের রিপোর্ট অনুসারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মোট ৯.১৫ লক্ষ একর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে। টানা দুদিনের বৃষ্টি এই ক্ষতি আরও বাড়িয়েছে। আমন ধান, আলু, আনাজ, ডাল, সর্ষে, ফুল, পান সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ে। সবথেকে বেশী ক্ষতি হয়েছে ধান জমিতে। ৮.৩৫ লক্ষ হেক্টর ধান জমি ক্ষতিগ্রস্ত। এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের চাষিরা। ফুল ও পানেরও ক্ষতি হয়েছে। ১৯০০ একরের ফুল চাষের জমি ও সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর পান চাষের জমি বিধ্বস্ত।
আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতির হাল দেখে এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। ১১ ও ১৩ই নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তারপর নবান্নে এক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত বিকল্প চাষ ও কৃষকদের ক্ষতি পূরণের পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। দেশের মধ্যে সবথেকে বেশী ধান উৎপাদন করে বাংলা এবং আলু চাষে দেশের দ্বিতীয় স্থানে রাজ্য। এই বিকল্প চাষের পরিকল্পনার মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির দিকটি সরকারের দিক থেকে দেখা হবে।