ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। টিকিটের চাহিদা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। তবে সেটা যে এই পর্যায়ে পৌঁছাবে তা আশা করা যায় নি। এই টেস্ট ম্যাচ নিয়ে সাধারণ দর্শকের মধ্যে যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তাতে রীতিমতো আপ্লুত সিএবি কর্তারা। যদিও আগ্রহের পাশাপাশি ক্ষোভও বাড়ছে সাধারণ দর্শকদের মধ্যে। সেটা নিতান্তই টিকিট কিনতে চেয়েও সুযোগ না পাওয়ার।
ঐতিহাসিক ইডেন টেস্টের সাক্ষী থাকতে চাইলেও গ্যালারি থেকে ম্যাচ দেখা সম্ভব নাও হতে পারে সকলের পক্ষে। কেননা টিকিটের চাহিদা এতটাই বেশি যে, অনিশ্চিত কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি। ম্যাচের আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। এখনও সিএবি’র তরফে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না আদৌ কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি হবে কিনা। কারণ, কাউন্টারে বিক্রির মতো টিকিট আদৌ সিএবি হাতে অবশিষ্ট থাকবে কিনা, তা নিয়েই রয়েছে ঘোর সংশয়। সাধারণত অনলাইন বিক্রির পর অবশিষ্ট টিকিট এবং ক্লাব ও বিভিন্ন সংস্থার জন্য বরাদ্দ থেকে বেঁচে যাওয়া টিকিট বিক্রি করা হয় কাউন্টার থেকে।
এবার অনলাইনে ম্যাচের প্রথম তিন দিনের টিকিট নিঃশেষিত। ক্লাব ও বিভিন্ন সংস্থাগুলিও নিজেদের কোটার টিকিট তুলে নিতে প্রবল আগ্রহী। সুতরাং, পরে কাউন্টারে বিক্রির মতো টিকিট কত অবশিষ্ট থাকবে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারছেননা সিএবি কর্তারা। বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, ১৯ নভেম্বরের পর বলা যাবে আদৌ কাউন্টারে কোনও টিকিট বিক্রি হবে কিনা। যদি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি হয় তবে সেটা সিএবি’র তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে।
নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত মহমেডান মাঠ অথবা সিএবি’র চার নম্বর গেট, কোথাও টিকিট কাউন্টার তৈরি হয়নি। গোটা সপ্তাহ ধরেই বেশ কিছু ক্রিকেটপ্রেমী কাউন্টার থেকে টিকিট কেনার আশায় মোহামেডান চত্বরে ভিড় জমাচ্ছেন। সেখানে হতাশ হয়ে সিএবি’র গেট পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁরা। মাঝে মধ্যে অসন্তোষও তৈরি হচ্ছে তাঁদের মধ্যে। সিএবি সচিব অভিষেক ডালমিয়া টিকিটের এমন চাহিদায় খুশি হলেও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যাঁরা কাউন্টার থেকে টিকিট কেনার আশায় অপেক্ষা করেও হতাশায় বাড়ি ফিরছেন তাঁদের জন্য।