পুজোর মরসুমে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল বাজারদর। সবজি থেকে ফল-মূলে হাত ছোঁয়ানো কার্যত দায় হয়ে পড়েছিল মধ্যবিত্তের। এরপর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এসে হাজির হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর প্রভাবে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় অগ্নিমূল্য হয়েছিল সবজির বাজার। সবজির দর নিয়ন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পুলিস এবং এনফোর্সমেন্ট দফতর নিয়মিত বাজার ঘুরে দেখবে,সঙ্গে থাকবে টাস্কফোর্সের সদস্যরাও। বেঁধে দেওয়া হবে সবজির দাম। বৈঠকে ঘোষণার পরদিনই তড়িঘড়ি শুরু হয় অভিযান। শহরের পাইকারি এবং খুচরো বাজারগুলোয় অভিযান শুরু করে টিম।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে টাস্কফোর্সের অভিযান। শনিবারও একইরকমভাবে শহরের প্রত্যেকটি বাজারে চলছে অভিযান। ৮টি দলে ভাগ হয়ে ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্টের সদস্যরা বাজার পরিদর্শন করছেন। উল্লেখ্য, শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানিকতলে বাজারেও দু-দুনে দুবার হানা দিয়েছে বিশেষ টাস্কফোর্স। শুধু মানিকতলাই নয়। প্রত্যেকটি বাজারেই একাধিকবার যাচ্ছেন এই বিশেষ দল। আর তাতেই রাতারাতি সুরাহা পেয়েছে সাধারণ মানুষ। মিলেছে প্রত্যক্ষ প্রমাণও। দেখা গিয়েছে, নজিরবিহীন ভাবে স্বাভাবিক হয়েছে বাজারদর।
গত তিনদিনের বাজার দর রইল আপনাদের জন্য দেখে নিন ফুলকপি- ছিল ৫০ টাকা, হয়েছে ৩০টাকা, বেগুন- ছিল ৮০ টাকা, হয়েছে ৫০ টাকা, টমেটো- ছিল ৬০ টাকা, হয়েছে ৪৫ টাকা , পটল- ছিল ৬০টাকা, হয়েছে ৫০ টাকা, উচ্ছে- ছিল ১০০ টাকা, হয়েছে ৭০, টাকা লঙ্কা- ছিল ৮০ টাকা, হয়েছে ৬০ টাকা, বরবটি- ছিল ৮০ টাকা, হয়েছে ৫০ টাকা, পালং- ছিল ৮০ টাকা, হয়েছে ৫০ টাকা সীম- ছিল ১০০ টাকা, হয়েছে ৮০ টাকা।
টাস্কফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, ‘গত দু-দিন ধরে আমরা শহরের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরো বাজারগুলোতে অভিযান চালিয়েছি। একই বাজারে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে, গত ৩ দিনে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে সকলকেই আমরা সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনওভাবেই ক্রেতাদের যেন ঠকানো না হয় সেদিকেই নজর রাখা হচ্ছে।’