বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু নিয়ে উত্তর শহরতলির পুরসভাগুলির সঙ্গে বৈঠক করলেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গড়া হল কমিটি। জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিলেন ফিরহাদ।
গতকালের বৈঠকে ফিরহাদ বলেন, “জনপ্রতিনিধিদের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তাঁদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় ঘুরতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলতে হবে, জমা জল যেন না থাকে। জমা জল থেকে মশার জন্ম হয়। যদি কোনও বন্ধ কারখানা বা ফাঁকা জমিতে জঞ্জাল পরিষ্কার করতে হয়, তাহলে ট্যাক্সের বিলের সঙ্গে সেই চার্জ যুক্ত করে দিতে হবে”।
পুরমন্ত্রী বলেন, জেশপ বা এ ধরনের কারখানায় জঙ্গল পরিষ্কার করতে হলে, টেন্ডার ডেকে কাজ করুন। তার যে বিল হবে, তা আমরা শিল্প দপ্তরে পাঠিয়ে দেব। ফাঁকা জমিতে জঙ্গল পরিষ্কার করে তার চার্জ জমির মালিকের ট্যাক্সের বিলে যুক্ত করতে হবে। কিন্তু জঙ্গল পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগী হতে হবে, না হলে তা সম্ভব নয়। জনপ্রতিনিধিদের আরও সক্রিয় হতে হবে। সমন্বয় কমিটি সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে। মশার লার্ভা মারার তেল বা কোনও কিছুরই অভাব নেই। নগরোন্নয়ন দফতর থেকে যা যা লাগবে, তা দেওয়া হবে। কিন্তু ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতাবৃদ্ধি করতে ব্যাপক প্রচারাভিযান চালাতে হবে।
এদিনের বৈঠকে মশা ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, দমদম, উত্তর দমদম, বরানগর এবং কলকাতা পুরসভার এক নম্বর বরো নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গড়া হয়েছে। যার আহ্বায়ক হয়েছেন কলকাতা পুরসভার এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা। সেই কমিটিতে রয়েছেন পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানরা। আর নগরোন্নয়ন দফতরে যুগ্ম সচিব শান্তনু মুখোপাধ্যায়কে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন।