দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মাসকয়েক আগেই আসামে প্রকাশিত হয়েছে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। যাতে বাদ গেছে, ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম। একসঙ্গে এত মানুষকে ‘নিজভূমে পরবাসী’ হতে দেখে আতঙ্ক এবং সেইসঙ্গে ক্ষোভ বাড়ছে এ রাজ্যেও। আগুনে ঘি ঢালছে বিজেপি নেতাদের ক্রমাগত হুঁশিয়ারি, যে বাংলাতেও এনআরসি হবে। ফলে গোটা বাংলাতেই ক্রমশই আলগা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের পায়ের তলার মাটি। বাদ নেই ইসলামপুরও। এই পরিস্থিতিতে ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’ হিসেবে এক ডাক্তারকে সামনে রেখে যখন সাংগঠনিক কাজ করতে যাচ্ছিল রাজ্য নেতৃত্ব, তখন ভাবমূর্তি নিয়ে না ভেবে করতে একজন দাপুটে নেতাকেই সভাপতি পদে চাইছেন এলাকার নেতা-কর্মীরা। যা নিয়ে ক্রমশই প্রকট হয়ে উঠছে দলের অন্দরের মতানৈক্য।
আসলে এনআরসি ইস্যুতে ইসলামপুরেও দল এতটাই কোণঠাসা যে, এই মুহূর্তে ওই পদে থাকা ডাঃ সৌম্যরূপ মন্ডলকে সরিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে দলের একটা বড় অংশ। এমনকী নতুন সভাপতি হিসেবে শঙ্কর ভাওয়াল এবং চন্দন শেঠ- এই দুজনের নাম নিয়েও জোর চর্চা চলছে। দলের ওই অংশ আপাতত যে কোনও ভাবে সভাপতি পাল্টে দিয়ে দলকে টিকিয়ে রাখতে চাইছে। উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরে রামনবমীর মিছিলকে হাতিয়ার করে ইসলামপুরে ভালই উত্থান হয়েছিল বিজেপির। তবে দাড়িভিট-কান্ড নিয়ে বিভেদের রাজনীতি করতে গিয়ে সেখানে বেশ ধাক্কা খায় তারা। লোকসভা নির্বাচনে এলাকায় নিজেদের সাংসদ তৈরি করতে পারলেও এনআরসি করতে গিয়ে রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মত ইসলামপুরেও ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়েছে তাদের। তাই সংগঠনে রদবদল এনে দলকে এখানে ফের চাঙ্গা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ছত্রভঙ্গ গেরুয়া শিবির।