বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ২০১৮ সালেই দেশিকোত্তমের জন্য দুই বিশিষ্ট বাঙালির প্রস্তাব করেছিল। চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী ও প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতর অনুমোদন না দেওয়ায় যোগেন চৌধুরী ও দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়কে দেশিকোত্তম সম্মাননা দিতে পারল না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্বভারতী একইসঙ্গে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, কবি গুলজার, লেখক অমিতাভ ঘোষ, পদার্থবিদ অশোক সেন, বৌদ্ধ দর্শনের পণ্ডিত সুনীতি কুমার পাঠকের নাম প্রস্তাব করেছিল কাউন্সিল। বিশ্বভারতী এই বিশিষ্টদের নাম প্রস্তাব করলেও প্রধানমন্ত্রীর দফতর তাতে সায় দেয়নি। দ্বিজেন-যোগেনকে সম্মান দেওয়া হবে না বলে কাউকেই দেয়নি বিশ্বভারতী৷
এ বছর বিশ্বভারতী দেশিকোত্তম প্রদান করে কিনা সেই দিকে আশ্রমিক, পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা তাকিয়ে ছিলেন। সোমবার বিশ্বভারতীর চলতি বছরের সমাবর্তনে আবার কাউকে দেওয়া হল না। বার বার প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সব সময় সমর্থন করতেন বলেই কি বারবার বঞ্চিত হয়েছেন বাংলার দুই কিংবদন্তি শিল্পী!
মরণোত্তর দেশিকোত্তম প্রদানের কোনও রেওয়াজ না-থাকায় প্রয়াত দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়কে এই সম্মাননা প্রদানের কোনও সুযোগ আর নেই। কিন্তু এই বছর দেশিকোত্তম পেতেই পারতেন চিত্রশিল্পী যোগেন। তাঁর নাম এ বার পাঠানোই হয়নি।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য রজতকান্ত রায় বলেন, “বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল নাম চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য দিল্লীতে পাঠালে, যদি দেশিকোত্তম প্রদান না-করা যায়, তা হলে এর দায় কেন্দ্র সরকারের উপর বর্তায়”।
রবীন্দ্র-জন্মের সার্ধ-শতবর্ষে এই পুরস্কার প্রদান শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম প্রাপক পান মরণোত্তর সম্মান পণ্ডিত রবিশঙ্কর। পরের বার জুবিন মেটা। ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে এই পুরস্কার কাউকেই দেওয়া হয়নি।