গত জুলাই মাসে কর্নাটকে ১৭ জন বিধায়কের বিদ্রোহ কংগ্রেস ও জেডি(এস) সরকারকে ফেলে দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিজেপি সরকার। এই ১৭ জন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়কদের পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ কে আর রমেশ। বুধবার স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
তবে এই ১৭ জন বিক্ষুদ্ধ বিধায়ক ২০২৩ সাল পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেও অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। জানানো হয়েছে, ৫ ডিসেম্বর যে উপনির্বাচন রয়েছে তাতে এই ১৭ জন লড়াই করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া বিধায়করা উপনির্বাচনে লড়তে পারবেন। পুনরায় নির্বাচিত হলে তাঁরা মন্ত্রীও হতে পারবেন। এই রায় দেওয়ার পর অনেকেই মনে করছেন যে কর্ণাটকে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হবে।
যে ১৭ আসনের বিধায়করা বিদ্রোহ করে ডিসকোয়ালিফায়েড হয়েছেন, তার মধ্যে ১৫ টিতে এবার ভোট হবে। বিদ্রোহী বিধায়করা এখন বিজেপির ঘনিষ্ঠ। যদিও বিজেপির টিকিটে দাঁড়ালে তাঁদের জয়ের আশা কম বলেই পর্যবেক্ষকদের ধারণা। ১৭ টি আসনের মধ্যে অনেকগুলিতে যদি বিজেপির প্রার্থীরা হেরে যান, তাহলে রাজ্যের বিজেপি সরকারও অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। সুতরাং সুপ্রিম কোর্টের বুধবারের রায়ের ফলে কর্ণাটকে আর একদফা অস্থিরতার সম্ভাবনা সৃষ্টি হল বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
যে ১৭ জন বিধায়ক ডিসকোয়ালিফায়েড হয়েছেন, তাঁদের ১৪ জন ছিলেন কংগ্রেসের সদস্য, তিনজন ছিলেন জেডি এসের। স্পিকার তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরে বিধায়করা প্রশ্ন তোলেন, ইস্তফা দেওয়ার পরে কাউকে কি ডিসকোয়ালিফাই করা যায়?
ডিসকোয়ালিফিকেশনের বিরুদ্ধে বিধায়করা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে ডিসকোয়ালিফিকেশনের নির্দেশ যাতে বহাল থেকে সেজন্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল জেডি এস এবং কংগ্রেসও।
১৫ টি বিধানসভা আসনে ভোট হবে ৫ ডিসেম্বর। ২২৪ সদস্যবিশিষ্ট বিধানসভায় বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ১০৬। এক নির্দল বিধায়ক তাদের সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে বিরোধী জেডি এস-কংগ্রেসের বিধায়কের সংখ্যা ১০১। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা আগেই চেয়েছিলেন, বিদ্রোহী বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় নেবেন। কিন্তু তাঁর দলের অনেকে বলেন, আগে বিদ্রোহীরা ফের ভোটে জিতে আসুন। পরে তাঁদের মন্ত্রী করা হবে।