সোমবার সরকার গঠনের জন্য এনসিপি-এর সঙ্গে জোট গড়ে আদিত্য ঠাকরে ও শিবসেনা বিধায়করা রাজভবনে পৌঁছনোর পরেও শেষ হয়নি সরকার গঠনের নাটক৷ সময় শেষের এক মিনিট আগে কংগ্রেসের চিঠি পৌঁছলেও তাতে শিবসেনাকে সমর্থনের ব্যাপারে পরিষ্কার করা হয়নি৷ কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য তারা এনসিপির সঙ্গে আরও খানিকটা আলোচনা করতে চায়৷ সেই প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার দিল্লীতে বৈঠকে বসছেন সোনিয়া গান্ধী-শরদ পাওয়াররা। অন্যদিকে, রাতেই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সরকার গঠনের জন্য আরও ৪৮ ঘন্টা চেয়েছিল শিবসেনা৷ তবে তাঁদের দাবি শোনেননি মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল৷ তিনি আর সময় দিতে নারাজ৷ এই প্রেক্ষিতে এখন রাষ্ট্রপতি শাসনের খাঁড়া ঝুলছে মহারাষ্ট্রের ভাগ্যে।
গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য শরদ পাওয়ারের দল এনসিপিকে সময় দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। তার আগে আজকের কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠকে কী হয় তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা মারাঠাভূমি। সবচেয়ে চিন্তায় পড়েছে শিবসেনা। প্রায় ৩০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে সেনা’বাহিনী’। লোকসভা নির্বাচনের পর প্রতিশ্রুতি মাফিক তাদের কথা রাখেনি বিজেপি, এই অভিযোগেই যত টানাপোড়েন মারাঠাভূমে। সেই জল যে গড়াতে শুরু করেছে তা থামার নাম নেই। তবে আজ রাতেই যে একটা হেস্তনেস্ত হতে চলেছে তা প্রায় পরিস্কার।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র বিধানসভার ম্যাজিক ফিগার ১৪৫ ৷ বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ১০৫টি আসন৷ অন্যদিকে শিবসেনা ৫৬, এনসিপি ৫৪ এবং কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৪৪টি আসন ৷ এই তিনজন হাত মেলালে জোটের আসন দাঁড়াবে ১৫৪টি ৷এখন অপেক্ষা কংগ্রেসের সরকারি অনুমতি পত্রের ৷ সরকার গঠনের জন্য শিবসেনাকে আগেই সমর্থন জানিয়েছে এনসিপি৷ শিবসেনার সঙ্গে টানাপোড়েনে আর না গিয়ে একপ্রকার হাত তুলে দিয়েছে বিজেপি। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকার গঠন তারা করতে ইচ্ছুক নয়। সেই প্রেক্ষিতেই এখন পুরোদমে সিংহাসন দখল করতে চাইছে শিবসেনা। কিন্তু কংগ্রেসের প্রত্যক্ষ সমর্থন এখনও না পাওয়ায় ভাগ্যরেখা এখন ঝুঁকেই রয়েছে ঠাকরেদের।