অবশেষে রায়দান পর্ব শেষ হল ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ে ওই জমিতে মন্দির তৈরি করা যাবে। মসজিদের জন্য আলাদা ৫ একর জমির কথা বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায়দান পর্ব সমাপ্ত করলেন, সেই বিচারপতিদের নিরাপত্তা বাড়ানো হল। ওই বেঞ্চের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ৪০ দিনের শুনানির পর গত ১৬ অক্টোবর মামলার রায়দান স্থগিত করে দেন তিনি। ওই বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভুষণ এবং এস আবদুল নজির। প্রধান বিচারপতির সুরক্ষা বাড়িয়ে জেড ক্যাটিগরির করা হয়েছে বলে সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় ২.৭৭ একর জমির দাবি জানিয়েছে হিন্দু এবং মুসলিম উভয়পক্ষই, ১৯৮০ থেকেই এই ইস্যুটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে উঠেছে। মনে করা হয়, ষোড়শ শতকে এই মসজিদ নির্মাণ করেন মোগল সম্রাট বাবর। ১৯৯২-এ ১৬ শতকের বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় দক্ষিণপন্থী সংগঠন, তাদের বিশ্বাস, ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমির ওপর তৈরি পুরানো মন্দিরের ভগ্নাবশেষের ওপর করা হয়েছে সেটি। সেই সময়ে হিংসার ঘটনায় সারা দেশের ২,০০০ এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
২০১০ সালের রায়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই বিতর্কিত জমিকে তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করে তিন মামলাকারী সানি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া ও রাম লাল্লার জন্য। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ১৪টি আপিল জমা পড়ে। এরপর এক মধ্যস্থতাকারী প্যানেল বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় আগস্টে। এরপর শুরু হয় শুনানি। শুনানির পরে শীর্ষ আদালত রায়দান স্থগিত করে। অবশেষে সেই মামলার রায়দান পর্ব শেষ হল। আর এই রায়দান পর্বের পর অশান্তির আশঙ্কায় দেশের ৫ বিচারপতির নিরাপত্তায় আনা হল আমূল পরিবর্তন।