অবশেষে রায়দান পর্ব শেষ হল ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার। দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ে ওই জমিতে মন্দির তৈরি করা যাবে। মসজিদের জন্য আলাদা ৫ একর জমির কথা বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায়দান পর্ব সমাপ্ত করলেন। এই রায় বেরোনোর পরেই প্রত্যাশামতো সমালোচনায় মুখর হল পাকিস্তান। রায়ের বিরোধিতায় মুখর হয়ে ওঠে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী থেকে সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করেছিল তারা। ফের সেই পথেই হাঁটতে শুরু করল।
বিষয়টিকে অসংবেদনশীল অ্যাখ্যা দিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ খুরেশি বলে, ‘বাবরি মসজিদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় মোদী সরকারের ধর্মান্ধ আদর্শের প্রতিফলন। ভারতে এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা খুব চাপে রয়েছে। তারপর উপর সুপ্রিম কোর্টের এই রায় তাদের খুব চাপে ফেলে দেবে। কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে দুটি দেশ যখন শান্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঠিক তখন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়দান অযৌক্তিক। যে দিন কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন হচ্ছে, ঠিক সেই দিনে প্রায় একই সময়ে অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে ঘোষণা শান্তি প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করল। এই মামলার রায়ের জন্য কি আর কিছুদিন অপেক্ষা করা যেত না? এই খুশির সময় এই রকম অসংবেদনশীল কার্যকলাপে আমি খুবই হতাশ। এই খুশির মুহূর্তে সবার আন্তরিকভাবে অংশ নেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু, তা না করে অন্যদিকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়া হল। অযোধ্যা মামলা খুবই সংবেনশীল একটি মামলা। কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনের দিনে এই মামলার রায় না দেওয়ারই দরকার ছিল। পুরো ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি।’
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সুরেই ভারতের সমালোচনা করেছে অন্য মন্ত্রীরাও। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে লজ্জাজনক এবং অনৈতিক বলেও অভিযোগ জানিয়েছে। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির নির্দেশের সমালোচনা করে পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস(ডিজি আইএসআরআর) মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। তাঁর কথায়, ‘পাকিস্তান যখন অন্য ধর্মকে সম্মান জানানোর জন্য কর্তারপুর করিডর খুলে দিচ্ছে তখন ভারতের বিশ্রী চেহারা ফের দেখা গেল।’