ঘোষণায় দেরি। যার ফলে ট্রেন ধরার জন্য ছুটোছুটি শুরু হয় যাত্রীদের মধ্যে। আর তারপরই পদপিষ্ট হয়ে বর্ধমান স্টেশনে জখম হলেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক মহিলা যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও। শুক্রবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে বর্ধমান স্টেশনের একটি ওভারব্রিজে।
জানা গেছে, সেইসময় চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল আপ পুরুলিয়া লোকাল। অন্যদিকে এই সময় পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকে ডাউন পূর্বা এক্সপ্রেস। চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঠা নামার জন্য একটাই মাত্র সিঁড়ি। দু’টি ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে ট্রেন ধরার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে অনেকেই পড়ে যান। পড়ে যাওয়া যাত্রীদের উপর দিয়ে ছুটতে থাকেন অন্য যাত্রীরা।
রেলপুলিশ আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। একজন মহিলা যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, স্টেশনের চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামা বা ওঠার একটাই মাত্র সিঁড়ি। অন্য যে সিঁড়ি আছে তা এখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে আছে। কারণ সেখানে চলমান সিঁড়ি তৈরির কাজ চলছে। একটা মাত্র সরু সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার ফলে প্রায় প্রতিদিনই এ রকম হুড়োহুড়ি বা ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটছে।
যাত্রীদের বক্তব্য, ‘এই বিষয়ে রেল প্রশাসন একেবারেই উদাসীন। তাছাড়া ঠিক সময়ে স্টেশনে ট্রেন আসার ঘোষণা করা হয় না বলেও অভিযোগ যাত্রীদের। একেবারে শেষমুহূর্তে ট্রেন আসার ঘোষণা হওয়ায় ট্রেন ধরার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সবার মধ্যে। আজও এই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ যদিও বর্ধমান স্টেশনের ম্যানেজার স্বপন অধিকারী অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। কিন্তু প্রায় রোজই এই একইরকম ঘটনা কি করে বারবার ঘটতে পারে? যার ফলে আজ এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো? এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে রেল কর্তৃপক্ষ।