গোটা গান্ধী পরিবারকেই বিরাট ধাক্কা দিল মোদী সরকার। বর্তমানে কংগ্রেসের তিন স্তম্ভ সোনিয়া, রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এসপিজি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এদিনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেসকর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, সরকার সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার জীবন নিয়ে খেলা করছে। রাজনৈতিক কারণেই গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এখন এসপিজি কভার পাবেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী নিহত হওয়ার পর থেকেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা এসপিজি কভার পেয়ে থাকেন। কিন্তু এবার থেকে তাঁদের জেড প্লাস সিকিউরিটি দেওয়া হবে। তাঁদের পাহারা দেবেন সিআরপিএফের ১০০ জন কর্মী।
কংগ্রেস কর্মীদের প্রশ্ন, কীসের ভিত্তিতে সনিয়া, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কার নিরাপত্তা কমিয়ে দেওয়া হল? তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছেন। সরকারের বক্তব্য, গান্ধী পরিবারের সদস্যদের জীবনের ঝুঁকি কী পরিমাণে আছে তা খতিয়ে দেখেই এসপিজি কভার তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
১৯৮৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার এক বছর বাদে স্পেশ্যাল প্রোটেকশন ফোর্স বা এসপিজি গঠন করা হয়। সেই বাহিনীতে ৩ হাজার সদস্য আছেন। ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা দেওয়া তাঁদের কাজ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের পর পুরো গান্ধী পরিবারকে এসপিজি নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তবে এদিনের মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, সরকার তাঁদের এসপিজি কভার তুলে নেওয়ার কথা জানায়নি। তাঁরা মিডিয়া মারফৎ এই খবর জেনেছেন।