দূষণরোধ করতে ইতিমধ্যেই শহরাঞ্চলে সবুজায়নের দিকে নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লীতে দূষণের পরিণতি চাক্ষুষ করার পর চিন্তিত নবান্নও, কারণ কলকাতাতেও দূষণের পরিমান দিন দিন বাড়ছে। আকাশে দেখা যাচ্ছে ধোঁয়াশা। তাই দূষণ ঠেকাতে ‘ধানের খড় না-পুড়িয়ে চাষের আয় বাড়ান’, এই স্লোগানেই কৃষিজীবীদের উদ্বুদ্ধ করতে চায় নবান্ন।
জমিতে নাড়া পোড়ানোর জেরে দূষণ ঠেকাতে, রাজ্যের মোট ৫৪ লক্ষ হেক্টর জমিতেই ফলন ওঠার পর ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানো বন্ধ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে রাজ্য সরকার। প্রচার চালানো হচ্ছে যে, আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় খড় ব্যবহার করে জমির উর্বরতা বাড়ানো সম্ভব। এমনকী, শিল্পের কাঁচা মাল হিসেবেও যে খড়ের চাহিদা রয়েছে, সে ব্যাপারেও সচেতন করা হচ্ছে কৃষকদের। এ ব্যাপারে খোদ নবান্নের তরফেই প্রতিনিয়ত কড়া নজরদারিও চালানো হচ্ছে।
দূষণরোধে বাংলার চাষীদের প্রচারের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে যে, রাজ্য সরকারের পরিবেশ বিধি অনুযায়ী যথেচ্ছ ভাবে ধান খেতের অবশিষ্টাংশ, খড় ও নাড়া পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ। কারণ খড় পোড়ালে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, ছাই, সালফার ডাইঅক্সাইড, এরোসল কণা ও অন্যান্য ক্ষতিকারক গ্যাস উৎপন্ন হয়। এমনকী, কেঁচো হ্রাস পেয়ে পরবর্তী ফসলের পরিপোষণে সমস্যাও দেখা দেয়।
এই প্রসঙ্গে কৃষি দফতরের এক শীর্ষকর্তার কথায়, “সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েই কৃষকদের নাড়া পোড়ানোর কুপ্রভাব সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল করায় উদ্যোগী হয়েছি”।
রাজ্য সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ৫৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। রাজ্য সরকার চায়, সব ধানী জমিতেই যেন নাড়া পোড়ানো বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে বিভাগীয় স্তরে কৃষি অধিকর্তার মতো শীর্ষ অফিসার থেকে শুরু করে ব্লকস্তরে কৃষি অফিসার ও কর্মীদের সকলকেই নবান্নের নির্দেশে মাঠে নেমে প্রচার করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই নিবিড় প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে।