সাধারণ মানুষের জন্যে কাজ নয় বরং তৃণমূলের ওপরে হামলা করাই যেন গেরুয়া শিবিরের একমাত্র লক্ষ্য। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। এবার ফের তৃণমূলের সম্প্রীতি মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের পতাকাও পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে বেলদার কালিনগর এলাকায়। কাশ্মীরে ৫ বাঙালি শ্রমিক খুন, এনআরসি–র নামে আতঙ্ক ছড়ানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে বেলদার খুরশি, কালীনগর, বাখরাবাদ এলাকায় সম্প্রীতি মিছিল করেন তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা। কয়েকশো কর্মী–সমর্থক এতে অংশ নেন। কালীনগর এলাকা দিয়ে মিছিল যাওয়ার সময় বিজেপি–র কিছু কর্মী–সমর্থক রাস্তা ঘিরে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে। তখন গোলমাল বাধে। উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর গ্রামবাসীরা বেরিয়ে এসে পাল্টা প্রতিরোধ করলে বিজেপি–র কর্মীরা পালিয়ে যায়। রাত ৯টা নাগাদ মিছিল শেষ হয় তৃণমূলের। রাতে স্থানীয় বিজেপি নেতা তপন প্রধানের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে পুড়িয়েও দেয় বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা মিহির পাহাড়ি।
এরপরে গভীর রাতে কালীনগর গ্রামে এসে তৃণমূল নেতাদের নাম ধরে গালিগালাজ করতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। যথেচ্ছ বোমা ফাটাতে থাকে। ভয়ে গ্রামের অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারেননি। গাছে ও খুঁটিতে বাঁধা তৃণমূলের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। কিছু পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার সকালে তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা দেখেন গ্রামের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়ে রয়েছে দলীয় পতাকা। বিষয়টি দলের নেতা ও পুলিশকে জানান তাঁরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।
এদিন বিকেলে এই ঘটনার প্রতিবাদে কালীনগর গ্রামে ধিক্কার মিছিল করে তৃণমূল। নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ জানান, লোকসভা ভোটের পর বিজেপি যেভাবে বাড়ছিল, এখন ঠিক সেভাবেই কমছে। নেতাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই এসব করে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা আছে।