একদিকে টালা ব্রিজ ভাঙার তোড়জোড় শুরু হয়েছে আর অন্য দিকে, দ্রুত মাথা তুলছে নতুন মাঝেরহাট সেতু। যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে নববর্ষে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল সম্ভব হবে এমনটাই মনে করছেন নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়াররা।
ইতিমধ্যে পিলার তৈরির কাজ শেষ। রেলের অংশেও কাজ চলছে দ্রুত লয়ে। তার উপর দ্রুত গতিতে চলছে লোহার শিক জয়েন করার কাজ। নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত এক ইঞ্জিনিয়ার জানালেন, এই কাজ শেষ হয়ে গেলেই পাত বসানো এবং কেবল লাগানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে। যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে আগামী বছরের পয়লা বৈশাখের মধ্যেই এই সেতুর কাজ শেষ হয়ে যাবে।
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। তার পর রাজ্য সরকার পুরোনো-জীর্ণ মাঝেরহাট সেতুটি পুরো ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। মাঝেরহাট সেতুর নীচ দিয়ে গিয়েছে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার ট্রেন লাইন। মাঝেরহাট দিয়ে চক্ররেলও চলাচল করে। ট্রেনের কম্পন যাতে সেতুর কোনও ক্ষতি না করে, সে জন্য রেল লাইনের অংশে এই নতুন সেতুর নীচে কোনও পিলার থাকবে না, এমনটাই জানিয়েছেন নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ইঞ্জিনিয়ার। নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি এই ধরনের ব্রিজকে বলা হয় ‘কেবল স্টার্টার ব্রিজ।’ যার মাঝের অংশটার ভার থাকে কেবল বা তারের উপর।
এই দিকে মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পর থেকে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে মাঝেরহাট, তারাতলা, বেহালা, পর্ণশ্রী, সরশুনা, ঠাকুরপুকুর, জোকা, পৈলান, বিষ্ণপুর, আমাতলা দিয়ে যাঁরা নিয়মিত আলিপুর ও ধর্মতলা যাতায়াত করেন, তাঁদের। এই সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার নিউ আলিপুরের কাছে একটি বেইলি ব্রিজ এবং টালিনালার উপরে মহাবীরতলা এবং হরিদেবপুরে আরও দু’টি নতুন সেতু চালু করেছে।