যাদবপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র উপর হামলায় বর্ধমানের ছাত্র দেবাঞ্জন বল্লভ চট্টোপাধ্যায়কে বর্ধমান শহরেই বাস থেকে নামিয়ে ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় ন’জন বিজেপিকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা জেল হেফাজতেও ছিল। সোমবার বর্ধমান শহরের টাউন হলে দলের শিক্ষক সেলের অনুষ্ঠানে ওই ন’জনকে সংবর্ধনা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি নিজে হাতে তাদের ন’জনের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন। ফুলের বোকেও উপহার দেন।
তৃণমূলের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলের ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। তা না করে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এদিন বর্ধমান সদর জেলা শিক্ষক সেলের অনুষ্ঠানে ধৃত ওই ন’জন বিজেপিকর্মীকে ‘ভারতমাতার বীর সন্তান’ বলে মঞ্চে ডাকা হয়। তারপর দিলীপবাবু তাঁদের প্রত্যেককে সংবর্ধনা দেন। সেখানে দলের বর্ধমান সদর জেলার সভাপতি সন্দীপ নন্দীও উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান শহর সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিল। তা না করে খোদ রাজ্য সভাপতি সংবর্ধনা দিয়ে প্রশ্রয় দিলেন”৷ বিজেপি অভিযুক্তদের নির্দোষ বললেও মানুষ জানেন আসল সত্যিটা কি৷
যাদবপুরকাণ্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র চুল করে টানার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। তারই সূত্র ধরে দেবাঞ্জন বল্লভ চট্টোপাধ্যায়কে শনাক্ত করতে হামলাকারীদের কোনও সমস্যাই হয়নি। পুজোর আগে গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় তিনি বর্ধমানের বাড়ি থেকে কলকাতায় যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে এক বান্ধবীও ছিলেন। অভিযোগ, আচমকা বিজেপির লোকজন বাস থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করেছিল। মারধর করে তাঁর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বান্ধবী বাধা দিতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। ওইদিন রাতেই দেবাঞ্জন বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তারপরই পুলিস ওই ন’জন বিজেপিকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল।