এনআরসি নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক তৎপরতাও। বাংলার বাকি সব রাজনৈতিক দল এবং সমমনোভাবাপন্ন সংগঠনগুলি রাজ্যে এনআরসি লাগুর বিরুদ্ধে এখন থেকেই সরব হয়েছে কেবল বিজেপি ছাড়া। এমনই প্রায় ৫০টি বাম ও মধ্যপন্থী সংগঠন এই ইস্যুতে হেস্তনেস্ত করতে নাগরিকপঞ্জি বিরোধী যুক্তমঞ্চ তৈরি করে রাস্তায় নেমেছে।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে যুক্তমঞ্চের তরফে বাম সংগঠন ইয়ং বেঙ্গলের অন্যতম নেতা তথা সিপিএমের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রসেনজিৎ বসু এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ৯ তারিখের সমাবেশে আমরা দলমত নির্বিশেষে সকলকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
ইতিমধ্যে তারা কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় মিছিল-মিটিং করেছে। এবার আগামী ১৫ নভেম্বর দার্জিলিং থেকে শুরু করছে এনআরসি বিরোধী যাত্রা। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা পরিক্রমার পর ‘পাহাড় থেকে সাগর’ শীর্ষক এই কর্মসূচি কাকদ্বীপ হয়ে আগামী ৯ ডিসেম্বর কলকাতায় শেষ হবে। ওইদিন ধর্মতলায় সমাবেশে মূল বক্তা হবেন সিপিআইয়ের তরুণ-তুর্কি নেতা কানহাইয়া কুমার। রাস্তার আন্দোলনের পাশাপাশি শীঘ্রই যুক্তমঞ্চ এই ইস্যুকে আদালতের দ্বারেও নিয়ে যেতে চাইছে। সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টে এনিয়ে জনস্বার্থ মামলা রুজু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সংগঠন।
বিজেপির এনআরসিকে কেবল মুখে বিরোধিতা করলে চলবে না। বিজেপি ও তাদের সরকারের এই অসাংবিধানিক ও বেআইনি পদক্ষেপের মূল সূত্র হল ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব আইন। এই আইনকে সামনে রেখে এখন এনপিআর বা জনগণনাপঞ্জি সংক্রান্ত যে নোটিফিকেশন কেন্দ্র জারি করেছে, তা আসলে এনআরসি’র প্রথম পদক্ষেপ। সেই আইনে এখন আবার সংশোধনী এনে কেন্দ্রের মোদী সরকার ভারতকে একটা হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা করেছে। তাই আমরা এই সংশোধনী সহ মূল আইনই বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে।