সারা ম্যাচে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিপক্ষের গোলে শট রুখে দেন তিনি। তবে একবারই সেই রক্ষণ থেকে গোল করতে সমর্থ হন জুভেন্তাসের খেলোয়াড়রা। ৭০ মিনিটে বাঁ দিক থেকে ভেসে আসা কর্নার ইগুয়েন নামিয়ে দিয়েছিলেন অরক্ষিত ম্যাথিস ডে লিটের দিকে। ডান পায়ের ভলিতে জাল খুঁজে নিতে অসুবিধা হয়নি ডাচ ডিফেন্ডারটির (১-০)। এছাড়া তুরিন ডার্বিতে তোরিনোর দুর্গরক্ষায় বিন্দুমাত্র খামতি ছিল না তোরিনোর গোলরক্ষক সালভাতোর সিরিগুর।
তুরিন ডার্বি জিতে খুশি জুভেন্তাসের কোচ মরিসিও সারি। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচ তিন গোলে জিততে পারতাম। ডায়বালা, রোনাল্ডো ও ইগুয়েনের প্রয়াস ওদের গোলরক্ষক বাঁচিয়ে দিয়েছে। তবে দিনের শেষে তিন পয়েন্ট পেয়েছি, এটাই বড় কথা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের আগে এই জয় দরকার ছিল।’ প্রথমার্ধে প্রাধান্য বিস্তার করেও কাঙ্ক্ষিত লিড পায়নি জুভেন্তাস। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দু’টি প্রয়াস অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে তোরিনোর রক্ষণ ভেঙেও লক্ষ্যে নিখুঁত থাকতে পারেননি পাওলো ডায়বালা।
পক্ষান্তরে, রক্ষণ সাজিয়ে আক্রমণে ওঠাই ছিল তোরিনোর লক্ষ্য। বিরতির পর আক্রমণের চাপ বাড়ায় মরিসিও সারি-ব্রিগেড। ৬২ মিনিটে ডায়বালাকে তুলে নিয়ে গঞ্জালো ইগুয়েন নামার পর তোরিনোর রক্ষণ সমস্যায় পড়ে। মাঠে নামার আট মিনিটের মধ্যেই ম্যাথিস ডে লিটের জন্য গোলের বল সাজিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই পর্বে অবশ্য জুভেন্তাস গোলরক্ষক সেজনিও একটি চমৎকার সেভ করে দলের পতন রুখে দেন। ১১ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট পেয়ে লিগ শীর্ষে জুভেন্তাস। ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে আন্তোনিও কন্তের প্রশিক্ষণাধীন ইন্তার মিলান। সমসংখ্যক ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২৮ পয়েন্ট।