লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই সারা দেশে গেরুয়া তান্ডব শুরু হয়েছে। আর এই তান্ডবের শিকার কোথাও সাধারণ মানুষ, কোথাও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা তো আবার কোথাও পুলিশ-প্রশাসন। এমনই এক কাণ্ডে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। এখানে পুলিশের ওপরে গুলি চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা আগে ছিল সিপিএমের লোক। লোকসভা ভোটে তারা বিজেপির হয়ে কাজ করেছে।
গোটা ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ”সক্রিয় রাজনৈতিক দলের মদতে ঘটনাটি ঘটেছে। কেদার সর্দার ও লাল্টু সর্দার আগে সিপিএম করত। লোকসভা ভোটে এরা বিজেপি হয়ে কাজ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস অনুষ্ঠান করছিল খুল্যায়। পাঁচজন মিলে মোটরবাইক করে গিয়ে দুজনকে মারে। অন্ধকারে পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিজেপি নেতারা বাংলার ভুগোল জানেন না। আগে দুষ্কৃতীরা ছিল সিপিএমের মদতপুষ্ট। এখন এরা বিজেপি করছে। কাউকে ছাড়া হবে না।” বিজেপি নেতাদের প্ররোচনাতেই দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে বলে দাবি জ্যোতিপ্রিয়র। তাঁর কথায়, ”দিলীপবাবুরা প্ররোচনা দিচ্ছেন। উত্সাহিত হয়ে পড়ছে দুষ্কৃতীরা।”
প্রসঙ্গত, পুলিশের কাছে খবর ছিল বৌ ঠাকুরানি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে পোলপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আর তাদের ধরতেই অভিযানে নামে পুলিশ। নেতৃত্বে সন্দেশখালি থানার এসআই অরিন্দম হালদার। রাতের অন্ধকারে কলাগাছি নদীর পাড়ে পৌছতেই ছুটে আসতে থাকে গুলি। পাঁচটি বাইকে চড়ে ছিল দুষ্কৃতীরা। রজনী চৌকিদার ঘাটের অন্যপাশে ভেড়ির দিক থেকেই ছোড়া হয় গুলি। আর তাতেই গুরুতর আহত হয়েছেন এসআই অরিন্দম হালদার, সিভিক ভলান্টিয়ার বাবুসোনা সিং ও ভিলেজ পুলিস বিশ্বজিৎ মাইতি। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের নিয়ে যাওয়া হয় খুলনা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কিন্তু কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাদের রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে।