দীপাবলির পর থেকেই রাজধানীর বায়ুদূষণ চরমে। যার ফলে বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল।। থেমে গেছে নির্মাণের কাজ। কিন্তু ক্রিকেট চলতে নাকি কোনও অসুবিধা নেই। তাই আজ, রবিবার, পূর্ব সূচি মতোই ভারত বনাম বাংলাদেশে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি হবে দিল্লীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। যার আগে নাম ছিল ফিরোজ শাহ কোটলা। নাম নতুন হলেও পরিস্থিতি সেই পুরনো। মাথার উপর ধোঁয়াটে আকাশ। এ বারই প্রথম হল এমন নয়। দু’বছর আগে শ্রীলঙ্কা এসেছিল টেস্ট খেলতে। তখন খেলা থামিয়েই দিতে হয়েছিল। মুখাবরণ পরে নেমেছিলেন ক্রিকেটারেরা। এমনকি, ভারতীয় দলের সদস্যরাও কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
সেটা ছিল ২০১৭। এটা ২০১৯। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তবু ম্যাচ রেখেছে নভেম্বরের কোটলায়। দীপাবলির পরে প্রথম রবিবার। সকলেরই জানা ছিল, এই সময় আকাশ কতটা বিষাক্ত থাকে রাজধানীতে। বায়ুদূষণের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে বিপদসীমা। দর্শকেরা কী ভাবে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা খোলা আকাশের নীচে বসে ম্যাচ দেখবেন, সেই প্রশ্নও থাকছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা কয়েক জন অনুশীলনে নেমেছেন মুখাবরণ পরে। ভারতীয়দের মুখ খোলা। তাঁরা নতুন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন, খেলতে অসুবিধা নেই। মুখাবরণ ব্যবহার করলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা দিল্লীতে খেলব না বলে আপত্তি জানাননি। তাই ম্যাচ হচ্ছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দেখে মনে হবে, তাঁদের জন্য আক্ষরিক অর্থেই দমবন্ধ করা পরিস্থিতি। একে তো দেশ থেকে বেরোনোর লগ্নেই বিস্ফোরণ ঘটেছে তাঁদের ক্রিকেটে। জুয়াড়ির প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করার অপরাধে বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার শাকিব-আল-হাসানকে নির্বাসিত করেছে আইসিসি। এই বাংলাদেশ দল থেকে শাকিবকে সরিয়ে দেওয়া মানে হিমোগ্লোবিন ঝুপ করে নেমে যাওয়া। রক্তাল্পতায় ভুগবে গোটা দল। দেশ থেকে বেরনোর সময় শাকিবকে নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হওয়া। এদিকে দিল্লী পৌঁছে বায়ুদূষণের মধ্যে পড়া। সব মিলিয়ে বাংলার বাঘদের মনে হয়তো এখন একটাই প্রার্থনা— ‘‘একটু শ্বাস নিতে দিন আমাদের।’’
বিরাট কোহলি নেই ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলে। তিনি বিশ্রামে। কোহলির অবর্তমানে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। রোহিত শুক্রবারই বলে দিয়েছিলেন, দিল্লীর দূষণ নিয়ে ভাবিত নন। এ দিন বললেন, তরুণদের সুযোগ দেওয়ার সময় হয়েছে। বললেন, বিরাট যেখানে রেখে গিয়েছে টিমকে, সেটাকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। সামনের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে দল সাজাতে চাইবেন রোহিতরা। শোনা যাচ্ছে, শিবম দুবের মতো নতুন মুখকে খেলানো হতে পারে। তবু দাঁড়িপাল্লায় দু’দলকে পাশাপাশি রাখলে বাংলাদেশের জন্য সব মিলিয়ে দম বন্ধ করা পরিবেশই নজরে আসছে।