বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ‘টিম ইন্ডিয়া’কে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। বিরাটের পরিবর্তে দলের দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই উঠে আসে। আগের মতো এবারও সেই দায়িত্ব গুরুত্বের সঙ্গে সামলাবেন তিনি, এমনই আশাবাদী সকলের। তবে এখানেই কিছুটা বিপত্তি ঘটেছে। শুক্রবার প্র্যাকটিসের সময় তলপেটের নীচের দিকে চোট পান ‘হিটম্যান’। তবে পরে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোহিতের চোট গুরুতর নয়। নেটে ব্যাট করার সময় ওর তলপেটে বল আঘাত করে। মেডিকেল টিম রো রোহিতের চোট পরীক্ষা করে জানিয়ে দিয়েছে, রবিবারের ম্যাচে ওর খেলতে কোনও অসুবিধা নেই।
অধিনায়কত্ব রোহিতের কাছে নতুন নয়। অতীতেও তিনি ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাফল্যও পেয়েছেন। তবে সৌরভ গাঙ্গুলি বোর্ড সভাপতি হওয়ার পর ভারতীয় ক্রিকেটে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রোহিত যদি স্ট্যান্ড বাই ক্যাপ্টেন হিসাবে সীমিত ওভারের সিরিজে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সাফল্য এনে দিতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে অধিনায়ক কোহলি ব্যর্থ হলে তাঁকে টি-২০ এবং একদিনের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের নেতা করা হতে পারে।
প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার ভি ভি এস লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘টি-২০ সিরিজে ভারতকে বেগ দিতে পারে বাংলাদেশ।’ একই সঙ্গে তিনি কাটার স্পেশালিস্ট বাঁ-হাতি বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের প্রশংসা করে জানান, ‘ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের নতুন বলে বিপাকে ফেলতে পারে মুস্তাফিজুর।’ সেকথা মাথায় রেখেই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট মুস্তাফিজুর ভীতি ব্যাটসম্যানদের মন থেকে দূর করতে মরিয়া। পরিকল্পনা মতোই শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি থ্রো-ডাউন বিশেষজ্ঞ নুয়ানকে উড়িয়ে আনা হয়েছে ভারতে। নেটে ব্যাট করতে যাওয়ার আগে ক্রিকেটাররা সাধারণত থ্রো-ডাউন নেন। সেই মতো রোহিত শর্মাকে থ্রো-ডাউন দিচ্ছিলেন নুয়ান। ঠিক তখনই একটা বল লাফিয়ে উঠে তাঁর তলপেটের বাঁদিকে সজোরে আঘাত করে। যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন ‘হিটম্যান’। গ্লাভস খুলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করতে করতে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান।
দিল্লীর পিচ নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে। প্র্যাকটিস পিচের এমন বেহাল অবস্থা দেখে আরও রেগে যান রোহিত। তিনি আর প্র্যাকটিস করতেই নামেননি। বিক্ষিপ্ত এই ঘটনা ছাড়া অনুশীলনে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ছিলেন চনমনে। সঞ্জু স্যামসন স্কোয়াডে থাকলেও তাঁকে উইকেটের পিছনে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। তবে ফিল্ডিং করেছেন। তা দেখার পর মনে হচ্ছে, প্রথম ম্যাচে ঋষভ পন্থই উইকেট কিপিং করবেন। বিশ্বকাপের পর থেকে জাতীয় নির্বাচকরা মহেন্দ্র সিং ধোনির বিকল্প হিসাবে ঋষভকেই প্রজেক্ট করছেন। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে ঋষভের পারফরম্যান্সে খুশি নন ক্যাপ্টেন কোহলি ও কোচ রবি শাস্ত্রী। তাই চোট সারিয়ে ফেরার পরেই ঋদ্ধির উপরই ভরসা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলার উইকেটরক্ষকটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত কিপিং করেছিলেন। যা দেখার পর মনে হচ্ছে ঋষভের পক্ষে এখনই টেস্ট ক্রিকেটে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে ফেরার সুযোগ কম। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসবে টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। তার আগে ভারতীয় দল একাধিক টি-২০ সিরিজ খেলবে। ঋষভ যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে সঞ্জু স্যামসন চাপ বাড়াবেন। নজর থাকবে তরুণ অলরাউন্ডার শিবম দুবের উপরও।