এই মুহূর্তে দলে নেই বিরাট কোহলি। মাত্রাতিরিক্ত ক্রিকেটের ধকল কাটিয়ে উঠতে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ‘টিম ইন্ডিয়া’কে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। কিন্তু শুক্রবার প্র্যাকটিসের সময় তলপেটের নীচের দিকে চোট পেয়ে ‘হিটম্যান’ ভারতীয় শিবিরে উদ্বেগ বাড়িয়েছিলেন। পরে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোহিতের চোট গুরুতর নয়। নেটে ব্যাট করার সময় ওর তলপেটে বল আঘাত করে। মেডিকেল টিম রোহিতের চোট পরীক্ষা করে জানিয়ে দিয়েছে, রবিবারের ম্যাচে ওর খেলতে কোনও অসুবিধা নেই।
রোহিতকে নিয়ে চিন্তার মেঘ কেটে গিয়েছে ভারতীয় শিবির থেকে। এখন সকলেই আগামীকাল ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেমন হতে পারে আগামীকাল ভারতের সম্ভাব্য একাদশ? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করে এই মুহূর্তে টিম ইন্ডিয়ার আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। তাই এবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় পেতে মরিয়া সকলে। টেস্ট ওপেনার হিসাবে নিজেকে চিনিয়েছেন রোহিত। আগামীকালও যদি তিনি তাঁর চেনা ছন্দে থাকেন তাহলে বেশ অসুবিধায় পড়তে পারে বাংলাদেশ। ওপেনার রোহিতকে সঙ্গ দেবেন ধওয়ান। দ ক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচে বাঁ-হাতি ওপেনার করেছেন ৪০ ও ৩৬। বড় রান না পেলেও ফর্মে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন। পরের বছর বিশ্বকাপের ভাবনায় থাকতে গেলে ধারাবাহিক হতেই হবে তাঁকে।
বিরাট না থাকার ফলে তিন নম্বরে খেলতে পারেন লোকেশ রাহুল। বিশ্বকাপে ওপেনার হিসেবে খারাপ খেলেননি। এই ফরম্যাটে তিনি আবার দুর্দান্ত সফল। আইপিএলেও যথেষ্ট ধারাবাহিক। ফলে, তাঁকে অহেতুক স্কোয়াডে বসিয়ে রাখা বোকামিই হবে। হালফিল যেটুকু সুযোগ পেয়েছেন, তাতে নজর কেড়েছেন ২৪ বছর বয়সি শ্রেয়স। ভারতীয় মিডল অর্ডারে চার নম্বর স্লট নিয়ে যাবতীয় চিন্তাভাবনা ও উদ্বেগের সমাধান হতে পারেন মুম্বইকর। ধ্রুপদী ধরানার সঙ্গে জোরে শট মারার ক্ষমতাও রয়েছে তাঁর।
পন্থকে বিশ্বকাপে তাঁকে চার নম্বরেই খেলানো হয়েছিল। কিন্তু নিজেকে এখনও প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। ঋষভের সমস্যা হল শট বাছাই। উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসার প্রবণতা রয়েছে তাঁর। ধারাবাহিকও নন। তাঁকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেখতে চাইছে দল। না হলে কিন্তু সঞ্জু স্যামসন অপেক্ষায় রয়েছেন। হার্দিক পাণ্ড্য এখনও চোট সারিয়ে সেরে উঠতে পারেননি। এই অবস্থায় মারকুটে অলরাউন্ডার হিসেবে অভিষেক হতে চলেছে শিবম দুবের। ২৬ বছর বয়সি শিবম হার্ডহিটার। জোরে শট মারার ক্ষমতার জন্য নজরে পড়েছেন তিনি।
রবীন্দ্র জাডেজাকে রাখা হয়নি দলে। ফলে, বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে নিশ্চিত ভাবেই খেলছেন হার্দিকের দাদা ক্রুণাল। ব্যাট হাতেও অবদান রাখার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। অলরাউন্ডার হিসেবে দুই বিভাগেই রয়েছে দক্ষতা। পাওয়ারপ্লে-র ছয় ওভারের মধ্যে বল করতে পারেন ২০ বছর বয়সি ওয়াশিংটন। এখনও পর্যন্ত ১২টি টি টোয়েন্টিতে চেন্নাইয়ের অফস্পিনার নিয়েছেন ১২ উইকেট। ইকনমি রেট ৬.২৩, যা এই ফর্ম্যাটে বেশ ভাল। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটও করতে পারেন। অলরাউন্ডারই ধরা যায় ওয়াশিংটনকে। ফলে তাঁকে দলে রাখলে বাড়বে ব্যাটিং গভীরতা।
দীপক রঞ্জি অভিষেকেই চমকে দিয়েছিলেন। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়েও নতুন বলে সুইংয়ের দক্ষতায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দীপক। ২৭ বছর বয়সি খেলেছেন চারটি টি-টোয়েন্টি। ১৪ গড়ে নিয়েছেন ছয় উইকেট। যুজভেন্দ্র চহাল, স্কোয়াডে রয়েছেন আরও একজন লেগস্পিনার, রাহুল চাহার। কিন্তু ২৯ বছর বয়সি চহালের অভিজ্ঞতাই এগিয়ে রাখছে তাঁকে। বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটে দলের বাইরে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠেও স্কোয়াডে ছিলেন না। এই সিরিজ তাই চহালের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় দল সবসময়ই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে একজন বাঁ-হাতি পেসারকে খেলানোর পক্ষপাতী। ফলে, শার্দুল ঠাকুর নন, খলিলই সম্ভবত খেলবেন রবিবার। ২১ বছর বয়সি এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ১১ টি-টোয়েন্টি। তবে তাঁর ইকনমি রেট (৮.৭৭) চিন্তায় রাখছে দলকে।