ভাইফোঁটার দুপুরেই সংকেতটা পাওয়া গিয়েছিল। বহুদিন পর দিদি-ভাই পাশাপাশি এসেছিলেন কালীঘাটের বাড়িতে। সেখানেই মুহূর্তের মধ্যে যেন কেটে গেল সব মান অভিমানের পালা। এরপরই জল্পনা শুরু হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে। বিজেপির সঙ্গে শীতলতা চরমে পৌঁছনর পরই যে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা একপ্রকার নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। আর এর ৩ দিনের মধ্যেই এল বড় সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা তাঁকে ফিরিয়ে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
জানা গেছে, ভাইফোঁটার রাতেই গোয়েন্দা বিভাগের কিছু অফিসার শোভনের বাড়িতে গিয়ে নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করেন। তারপরেই শুক্রবার নবান্নর তরফে শোভনের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। জানানো হয়েছে, আটজন নিরাপত্তারক্ষী পাবেন শোভন। নবান্ন তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি যে নিরাপত্তা পেতেন, সেই নিরাপত্তাই এখনও পাবেন। অর্থাৎ ফের একবার ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
এর পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। শোভন-বৈশাখীর বিজেপিতে যোগদান কম নাটকীয় ছিল না। যোগ দেওয়ার পরে একাধিকবার বৈশাখী অভিযোগ করেছেন তাঁকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। এই সময়ের মধ্যে খুব একটা প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়নি দু’জনকে। বিজেপির কোনও কর্মসূচিতেও নয়। ভাইফোঁটার দিন মমতার বাড়ি যাওয়ার পর প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি ফের তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন শোভন? গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয় কে ব্যক্তিগতভাবে কার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তাতে দলের কিছু বলার নেই। এ কথা বললেও সামান্য অস্বস্তি শুরু হয়েছিল বিজেপিতে। শোভনের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়ার পর সেই অস্বস্তি যে বাড়ল তা বলাই বাহুল্য।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ঠিক যেভাবে দীর্ঘ সময় জল্পনা চলার পর আচমকা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন। একই ভাবে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই যে কোনও একদিন ফের তৃণমূলে চলে আসবেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।