আলাপ-আলোচনা, জোট, বার্তা দেওয়া এসব অনেক হয়েছে। এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে দিল শিবসেনা। সঙ্গে জানিয়ে দিল মুখ্যমন্ত্রী তো আমাদেরই হবে। বিজেপিকে এভাবে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে শিবসেনা তা ভাবতেও পারেনি গেরুয়া শিবির। ৫০-৫০ ফর্মুলায় রাজ্য সরকার গঠনের দাবিতে অনড় শিবসেনা, বিজেপিকে চাপে রেখে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উদ্ধব ঠাকরের ছেলে তথা দক্ষিণ মুম্বইয়ের জয়ী বিধায়ক আদিত্য ঠাকরেকে সঙ্গে নিয়ে শিবসেনার শীর্ষ নেতারা রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করতে রাজভবন যান।
বিজেপিও এর আগে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর শুক্রবার শিবসেনা যা বলেছে তাতে রাজ্যপালকে আর তারা মধ্যস্থতাকারী হিসাবে রাখতে চাইছে না। আদিত্য ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে পাঁচ বছরের সরকারকে আড়াই বছরে ভাগ করার দাবি জানিয়ে শিবসেনা বলেছে, লোকসভা নির্বাচনের আগেই তাদের সঙ্গে এই চুক্তি করেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হলে এবার চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিবসেনা।
ঠিক কী হুঁশিয়ারি দিয়েছে শিবসেনা? শুক্রবার শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘যদি শিবসেনা সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে উপযুক্ত সংখ্যা জোগাড় করে রাজ্যে সরকার গঠন করতে পারে। কিন্তু মহারাষ্ট্রের মানুষ ভোট দিয়েছিল ৫০–৫০ ফর্মুলায় সরকার গঠনের ওপর ভিত্তি করে।’ অর্থাৎ বিজেপি বেশি বেগড়বাই করলে নির্দল–সহ অন্য আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে প্রস্তুত।
মহারাষ্ট্রে ২৮৮ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ১০৫টি আসনে। শিবসেনা ৫৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। কংগ্রেস-এনসিপি জোট পেয়েছে ৯৮টি আসন। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করলে ক্ষমতাসীন দল বা জোটের কাছে ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার। শিবসেনাকে বাইরে থেকে কংগ্রেস এনসিপি সমর্থন জানালে মোট ১৫৪ জন বিধায়কের সমর্থন থাকবে তাঁদের সঙ্গে। এ ছাড়া আরও ৬ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন জুটিয়ে ফেলেছে শিবসেনা। তাই বিজেপির সরকার গঠনের চেষ্টা রুখে দিতে বিজেপির এই হুমকিকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।