সোমবারই নয়া নজির গড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন গল্ফের বাঘ। সর্বাধিক খেতাব জেতার রেকর্ড গড়েছেন টাইগার উডস। ৮২-তম পিজিএ টুর ট্রফি জিতে এই রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। জাপানে জোজো চ্যাম্পিয়নশিপে এই নজির গড়তে বিশ্বের ১০ নম্বর টাইগারের সাতটি হোল-এর খেলা বাকি ছিল। সেই লক্ষ্য পূরণ করতেই প্রাক্তন মার্কিন গল্ফ তারকা স্যাম স্নিডের নজির স্পর্শ করেন। আর এই নজির গড়ার পরেই খেলার দুনিয়া টাইগার উডসকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত।
তাঁকে এখন বলা যেতে পারে ‘সুপার হিরো’।
টাইগার উডস এটা করতে পেরেছেন। সে জন্য গ্যারি ক্লেয়ারের মতো গল্ফ ব্যক্তিত্ব বলছেন, ‘টাইগার তুমি ফাইন ওয়াইনের মতো। তুমি প্রকৃতই খেলার বিশ্বনাগরিক। আমি তাকিয়ে থাকব তোমার ৮৩ নম্বর খেতাবের দিকে!’ একবার নয়, পরপর দু’বার। যে কারণেই তাঁর সঙ্গে এখন সুপার হিরোর তুলনা করছে আমেরিকা তথা ইউরোপের প্রচারমাধ্যম।
সপ্তাহের শুরুটা হয়েছিল বেশ কিছু প্রশ্ন দিয়ে। প্রশ্ন ছিল তাঁর শরীর নিয়ে, তাঁর খেলার ক্ষমতা নিয়ে এবং অবশ্যই তাঁর দক্ষতা নিয়ে। সপ্তাহ শেষ হল ইতিহাস তৈরি করে। মাত্র ন’সপ্তাহ আগে হাঁটুতে তাঁর পঞ্চমবার অস্ত্রোপচারের পর। এটি ছিল টাইগারের নবম অস্ত্রোপচার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ছিল তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে। তাঁর দক্ষতা নিয়ে। কিন্তু যে ভাবে সপ্তাহ শেষ হল, তাতে বলতেই হচ্ছে, টাইগার এখনও ফিরে আসতে পারেন। জ্যাক নিকোলাসের ১৮টা মেজর জয়ের রেকর্ড এখন আর খুব সুরক্ষিত বলে মনে হচ্ছে না। এখন তিনি মাত্র তিন ধাপ দূরে।
ব্যক্তিগত কোনও খেলায় ইতিহাস গড়ার পর টাইগারের টুইট, ‘স্যামের সঙ্গে একাসনে বসতে পেরে ভালো লাগছে। এটা সত্যিই ইতিহাস। আমার মা-বাবা-সহ সবাইকে ধন্যবাদ, যাঁরা আমার পাশে ছিলেন। দুর্দান্ত একটা বছর কাটছে।’ পরে বলছেন, ‘এটা আসলে ধারাবাহিকতার প্রশ্ন। কত দিন ধরে তুমি ধারাবাহিক থাকতে পারছ, তার পরীক্ষা। আমি খুবই ভাগ্যবান, যেমন ভাবে আমার কেরিয়ারটা এখনও পর্যন্ত এগিয়েছে, তার জন্য।’ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে এই রেকর্ডটা হওয়ায় তিনি খুব খুশি। ‘জাপানে এই টুর্নামেন্টে এই সাফল্য এল, এটা হয়তো আমার কাছে বাড়তি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমি সবসময়ই বিশ্বের প্লেয়ার হিসেবে নিজেকে ভেবেছি। বিশ্বের সর্বত্র আমি খেলেছি। তাই এমন একটা ইতিহাস জাপানে হওয়ায় আমি খুবই খুশি।’