নন্দরাম মার্কেটে আগুন লাগার পর নাশকতার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ভিতরে ক্যামেরা যথেষ্ট পরিমানে না থাকায় তদন্তে নেমে দরকারি ফুটেজ পাননি দমকল ও পুলিশ কর্তারা। তাই এবার ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষকেই সুরক্ষিত করতে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে মহানগরের সমস্ত পুর-বাজারে বসানো হবে সিসি টিভি। সঙ্গে নন্দরাম মার্কেটের ভয়াবহ ঘটনার তদন্তে সাহায্য করতে তৎপর হল রাজ্য সরকার।
যে ক্যামেরা গুলি বসানো হবে বাজারে, সেগুলো শুধু উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নয়, নাইট ভিশন গ্রহণেও সক্ষম। নাশকতার চেষ্টা হলেও যাতে তার ফুটেজ সার্ভার থেকে পাওয়া যায় সে জন্যই ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত। কলকাতা পুরসভার ৪৬টি নিজস্ব পুর-বাজারকে শুধু মাত্র পরিকাঠামোয় মুড়ে দিয়েছে এমন নয়। রাজ্য সরকার এর নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাজার গুলি থেকে যে সমস্ত গৃহীত হবে সেগুলো পুরসভার কন্ট্রোল রুমে জমা হবে। তদন্তের প্রয়োজনে যেকোনো সময় পুলিশ তা দেখতে পারবেন।
প্রথম দফায় গড়িয়াহাটে ৪৬টি, এন্টালিতে ২৬টি, মানিকতলায় ১৬টি, নিউ মার্কেটে ৬৬টি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। শুধু এই নয়, কলেজ স্ট্রীট মার্কেটে আধুনিক পরিকাঠামোর পর ১৯০০ ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে একথা কলকাতার স্বয়ং মেয়র জানিয়েছেন।
কলেজ স্ট্রীট মার্কেটের মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন জানান, “লোহার গেটের পাশাপাশি কলেজ স্ট্রীট মার্কেটে শীঘ্রই ২৬ টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এমনকি দক্ষিণের বাঁশদ্রোণী মার্কেটেও সিসিটিভি বসাচ্ছে পুরসভা”।