দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় আবার ফিরতে চলেছে সাইবেরিয়ান টাইগার। এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বিশ্বের যেসব চিড়িয়াখানায় এই সাইবেরিয়ান টাইগার আছে, সেখানে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আগামী দিনে এই বাঘের প্রজননের কথা ভেবে চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে এই প্রজাতির এক জোড়া বাঘ ও বাঘিনী আনা যায়। মূলত চীন এবং রাশিয়াতে এই প্রজাতির বাঘ থাকলেও চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে রাশিয়ার কোনও চিড়িয়াখানা থেকেই এই বাঘ আনা যায়। যে চিড়িয়াখানা থেকে এই বাঘ আনা হবে সেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে এর বদলে তাদের চিড়িয়াখানার কোনও জন্তু দেবে দার্জিলিং কর্তৃপক্ষ।
চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর জানিয়েছেন, “কোনও জন্তু আনার আগে সাধারণত দেখে নেওয়া হয় যে আবহাওয়া থেকে সেটিকে নিয়ে আসা হচ্ছে সেই ধরনের আবহাওয়া তার নতুন জায়গায় আছে কি না। দার্জিলিং ঠান্ডা অঞ্চল এবং এখানে আগেই সাইবেরিয়ান বাঘ ছিল। ফলে, আবহাওয়া নিয়ে আমরা একেবারেই নিশ্চিন্ত”।
দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর রাজেন্দ্র জাখর আরও বলেন, “এই চিড়িয়াখানায় শেষ যে সাইবেরিয়ান টাইগারটি ছিল সেটি ২০০৬–তে মারা যায়। যে জায়গায় ওই বাঘটি থাকত এখন সেখানে প্রয়োজনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রাখা হয়। আমরা এখানে ফের সাইবেরিয়ান বাঘ আনার বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। রাশিয়ার চিড়িয়াখানা থেকে আনার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে”।
এই চিড়িয়াখানার পূর্বতন ডিরেক্টর পিয়ার চাঁদের সময় জার্মানির এক চিড়িয়াখানা থেকে টাকিন আনা হয়েছিল। তার বদলে জার্মানির ওই চিড়িয়াখানাকে রেড পান্ডা দিয়েছিল দার্জিলিং কর্তৃপক্ষ। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, অন্য কোনও চিড়িয়াখানা থেকে কোনও জন্তু আনলে তার বদলে নিজেদের চিড়িয়াখানার কোনও জন্তু সাধারণত তাদেরকে দেওয়া হয়। আবার অনেক সময় কিছু দেওয়াও হয় না।
চিড়িয়াখানার নাম পদ্মজা নাইডু হিমালয়্যান জুলজিক্যাল পার্ক হলেও সাধারণের কাছে এর পরিচিতি দার্জিলিং চিড়িয়াখানা নামেই। চিড়িয়াখানাটি তৈরি হওয়ার পর তৎকালীন সোবিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নিকিতা ক্রুশ্চেভ ভারত সরকারকে এক জোড়া সাইবেরিয়ান বাঘ উপহার দিয়েছিলেন। যা দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছিল। দার্জিলিংয়ে যাঁরা বেড়াতে যান তাঁদের অন্যতম গন্তব্য থাকে এই চিড়িয়াখানাটি। অন্যান্য জন্তুদের সঙ্গে এই চিড়িয়াখানায় আরেকটি যে জন্তু আকর্ষণীয় সেটি হল রেড পান্ডা।