বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির বিপ্লব স্মৃতি অ্যাথলেটিক ক্লাব দিয়েই কালীপুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই শহরের একগুচ্ছ পুজো উদ্বোধন করলেন তিনি। আর পুজো উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই, অন্য কারও অসুবিধা না করে বাজি পোড়ানোর পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল গিরিশ পার্ক এলাকার একটি কালীপুজোর উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ‘আলোর এই উৎসবে সকলের হৃদয় আলোকিত হোক। এমনভাবে কেউ বাজি পোড়াবেন না, যাতে অন্য কারও অসুবিধা হয়। খেয়াল রাখবেন যাতে কারও গায়ে, জামাকাপড়ে আগুন লেগে না যায়। সতর্ক ভাবে বাজি পোড়াবেন।’
প্রতিবারই কালীপুজোয় বাজির শব্দতাণ্ডবের পাশাপাশি বায়ুদূষণে নাজেহাল হতে হয় কলকাতাকে। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই শব্দবাজির মাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং বাজি ফাটানোর সময়ও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণে তাদের কর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে। পাশাপাশি বাজির ধোঁয়াও যে একই রকম দূষণের কারণ, সে প্রচারও করা হচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাও ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোনও মূল্যে তাঁরা শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণ করবেনই। বাজি-বিধি ভাঙলে নেওয়া হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা। আর এবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী দূষণ রোধে এ হেন বার্তায় দেওয়ায় পরিবেশ রক্ষায় আরও খানিকটা উদ্যোগী হবেন রাজ্যবাসী, তা বলাই বাহুল্য।