ক্রমশই জটিল হচ্ছে বিজেপির পরিস্থিতি। মহারাষ্ট্রে কোনোমতে জয়ের আনন্দও উপভোগ করতে পারছে না বিজেপি। ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে জোটসঙ্গী শিবসেনা। পদ্মশিবিরে কার্যত কাঁটা হয়ে ফুটছে শরিক শিবসেনা। বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর দু’দিনের মাথাতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদের আধাআধি ভাগ চেয়ে বিজেপিকে শর্ত দিয়ে দিল উদ্ধব ঠাকরের দল। আর তা না পেলে, বিজেপির বদলে অন্য কারও সঙ্গে হাত মেলানোর হুমকিও দিচ্ছে তারা।
শনিবার ওভালা–মাঝিওয়াড়ার শিবসেনা বিধায়ক প্রতাপ সরনায়েক বলেছেন, ‘লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৫০–৫০ ফর্মুলার। তাহলে তো দুই শরিকেরই আড়াই আড়াই বছর করে সরকার চালানোর সুযোগ থাকা উচিত। আর শিবসেনা থেকে মুখ্যমন্ত্রীও হওয়া উচিত। বিজেপির থেকে এই লিখিত আশ্বাস দিতে হবে উদ্ধবজিকে।’ শুক্রবারও উদ্ধব বিজেপিকে ভোটের আগে তাঁদের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে মান্যতা দিতে মনে করিয়ে দেন।
প্রতাপ সরনায়েক আরও বলেন, ‘‘উদ্ধবজি বিজেপির উচ্চতম নেতৃত্বের থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি চান। তিনি অমিত শাহ হতে পারেন বা দেবেন্দ্র ফড়ণবীসও হতে পারেন। বিজেপিকে ৫০-৫০ ফরমুলায় বিশ্বাস রাখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ দু’দলের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করতে হবে।’’ অর্থাৎ, মোট পাঁচ বছরের শাসন কালে মধ্যে আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে চাইছে শিবসেনা। আর বাকি আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রিত্বের রাশ থাকবে বিজেপির দখলে। তবে শিবসেনার তরফে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন ঠানের বিধায়ক প্রতাপ। তবে পাল্লা যে আদিত্য ঠাকরের দিকেই ঝুঁকে রয়েছে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
এদিনই মাতোশ্রীতে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করে রামটেক কেন্দ্রের নির্দল বিধায়ক আশিস জয়সওয়াল এবং ভান্ডারা কেন্দ্রের নির্দল বিধায়ক নরেন্দ্র ভোন্ডেকর শিবসেনাকে সমর্থনের কথা জানিয়ে এসেছেন। ২৮৮টা আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এবারের ভোটে ৫৬টা আসন জিতেছে শিবসেনা। বিজেপি জিতেছে ১০৫টা আসন। দুই নির্দলের সমর্থনের ফলে তাদের আসন সংখ্যা বেড়ে হল ৫৮।অন্যদিকে, ৫৪টা আসন পেয়ে তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসা এনসিপি–র প্রধান শারদ পাওয়ারও শিবসেনাকেই সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেনার দাবিতে কোনও ভুল নেই।