প্রতিবছরের মতো এবছরও ধনতেরাস উপলক্ষে দোকানগুলি বাহারি আলো ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। দোকানের সামনে চলছে বিজ্ঞাপন। কিন্তু সোনার দাম কিছুটা কমলেও ধনতেরাসে নিষ্প্রভ বৌবাজার সোনাপট্টি।
গয়নার দোকানগুলি আলোয় ঝলমল করলেও সোনার জৌলুস যেন কিছুটা কমে গিয়েছে! বেশিরভাগ দোকানই ফাঁকা। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গত এক বছর ধরেই ব্যবসা মন্দা। এবছর ধনতেরাসেও ব্যবসা ঘুরে দাঁড়ায়নি। সোনা কেনায় মানুষের অনীহা তৈরি হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও আশা রাখছেন অনেকে। বলছেন, ‘কালীপুজো পর্যন্ত সোনা কেনাকাটা চলে। এখন বৃষ্টি না হলেই মঙ্গল।’
ক্রেতা টানতে প্রতিযোগিতা চলছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। গয়না কিনলে দেওয়া হচ্ছে উপহার। গয়নার মজুরির ওপর দেওয়া হচ্ছে প্রচুর ছাড়। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও বেশিরভাগ দোকানেই ক্রেতা দেখা যায়নি বৃহস্পতিবার। বড় দোকানগুলিতে অল্প ক্রেতা দেখা গেলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যবছরের মতো বিক্রিবাটা নেই সেগুলিতেও।
বৌবাজারে রাস্তার দুধারে প্রায় ৩৬০টি সোনার দোকান। সবথেকে খারাপ অবস্থা দুর্গা পিথুরি লেন, স্যাকরা পাড়া ও গৌর দে লেনের কয়েকটি দোকানের। সেখানকার রাস্তার একাংশ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। একটু পর পরই ভারী পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করছে। বৃষ্টিতে কাদা হয়ে রয়েছে সেখানকার রাস্তা। যেকারণে এবছর আর দোকানের আলো বা বিজ্ঞাপনের পিছনে খরচ করেনি সেখানকার বেশকিছু দোকান। দে কোম্পানির কর্ণধার মানিক দে বললেন, “এদিন পর্যন্ত ব্যবসার হাল খুবই খারাপ। গতবছর এই দিনে একশোর ওপর ক্রেতা এসেছিলেন দোকানে। এবছর সেই সংখ্যাটা মেরেকেটে পঁচিশ”। অনেক বিক্রেতার মতে, সোনার দামের ওঠা–নামায় বিভ্রান্ত হয়েই গয়না থেকে মুখ ফিরিয়েছে মানুষ।