গতকাল ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই সব উইকেট পরে যায় প্রোটিয়াদের। যার ফলে শেষ হয়ে যায় টেস্ট। আর রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনটি টেস্ট বিশাখাপত্তনম, পুণে ও রাঁচিতে খেলেছিল ভারতীয় দল। তিনটি জায়গাতেই সেইভাবে দর্শক মাঠে আসেননি। তাই সিরিজ জিতেও খানিকটা নিরাশ ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। আর তাই এবার থেকে দেশের পাঁচটি বড় ভেন্যুতেই শুধুমাত্র টেস্ট খেলা হোক, এমনটাই মত কোহলির।
জগমোহন ডালমিয়ার সময় দেশের বড় ১০টি ভেন্যুতেই শুধুমাত্র টেস্ট খেলা হত। কিন্তু অনুরাগ ঠাকুরের সময় থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। ধীরে ধীরে টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেতে থাকে রাঁচি, ধর্মশালা, রাজকোট, বিশাখাপত্তনমের মতো তথাকথিত ছোট ভেন্যুগুলোও। ধীরে ধীরে দেশের বৃহত্তম পরিধিতে টেস্ট ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট হয় ভারতীয় বোর্ড। তবে এসবের মাঝে কোহলির এই মন্তব্য নিয়ে বেশ জলঘোলা শুরু হয়েছে।
ভারত অধিনায়কের এই মত কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ছোট রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা।
পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ আরপি সিংলা সর্বভারতীয় এক সংবাদপত্রে এদিন জানান, ‘টেস্টে এখন ঠিক কোথায় প্রচুর দর্শক হয়? এখন সারা বছর এত ক্রিকেট। ফলে দর্শকরাও তো ক্লান্ত হতে বাধ্য। এখন যেখানেই টেস্ট আয়োজন করা হোক না কেন, গ্যালারি ফাঁকা থাকবেই।’ প্রাক্তন বিসিসিআই সেক্রেটারি নিরঞ্জন শাহ বলেন, ‘কেন টেস্ট ক্রিকেটকে শুধুমাত্র দেশের পাঁচটি শহরে বেঁধে ফেলা হবে? আমাদের এই বিশাল দেশের অনেক শহরে অনেক ক্রিকেটপাগল মানুষ থাকেন। ফলে টেস্ট ক্রিকেটকে পাঁচটি বড় শহরের মধ্যে বেঁধে ফেলা, কখনই উচিত হবে না।’