পুজোর আগেই উত্তর ২৪ পরগনা, বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে গিয়ে ৩ জেলার প্রশাসনিক বৈঠকই সেরে ফেলেছিলেন তিনি। আর পুজো মিটতেই এবার উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর লোকসভা ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রথম পাহাড় সফরে বোনাস জটের সমাধান হবে বলে আশা করছেন চা বাগানের শ্রমিকরা।
পুজোর আগে ২০ শতাংশ বোনাস বিলির সিদ্ধান্ত হলেও দু’টি ভাগে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা। প্রথম দফায় ১২ শতাংশ এবং নভেম্বরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পরে বাকি ৮ শতাংশ। মালিকদের ওই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট চা বাগানের শ্রমিকরা কেউই বোনাস নেননি। তাঁরা দাবি করেছেন, একসঙ্গে ২০ শতাংশ বোনাস দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আসা মাত্রই তাঁদের এই দাবি পূরণ হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আজ, সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২২ অক্টোবর কার্শিয়াংয়ে যাবেন তিনি। সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন মোর্চা নেতা বিনয় তামাং এবং জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা। মোর্চা সূত্রে খবর, প্রথম দিনই মুখ্যমন্ত্রীকে বোনাস জটের কথা তুলে ধরতে চান বিনয় তামাংরা। ২৩ অক্টোবর প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বোনাস নিয়ে জট খোলার রাস্তা দেখাতে পারেন বলে আশা করছেন চা শ্রমিকেরা। তাঁদের বক্তব্য, বোনাসহীন পুজোর কথা জানার পর মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয় চুপ করে বসে থাকবেন না।
লোকসভা নির্বাচনের পরে এই প্রথম পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২১ তারিখ বিকেলের বিমানে বাগডোগরায় নামার পরে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের একটি বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। রাতে থাকবেন উত্তরকন্যার কন্যাশ্রী গেস্ট হাউসে। পরদিন, অর্থাৎ ২২ অক্টোবর উত্তরকন্যায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। পরে বিকেলে কার্শিয়াংয়ের সার্কিট হাউসে উঠবেন তিনি।
মোর্চার মুখপাত্র সুরজ শর্মা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়ার মতো নানা বিষয় রয়েছে। দলের তরফে বিনয় তামাং নিশ্চয়ই সেগুলি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে উত্থাপন করবেন। তবে বোনাস সমস্যা যে বিশেষ অগ্রাধিকার পাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।’