বাংলা সংবাদমাধ্যমের দুনিয়ায় নক্ষত্রপতন। প্রয়াত বর্তমান পত্রিকার সম্পাদক শুভা দত্ত। তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিকরা।আজ সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি পরলোকগমন করেন। দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। শুভা দত্তের এক কন্যা রূপাঞ্জনা, জামাতা বিবেক সহ বহু আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী বর্তমান।
গত এগারো বছর ধরে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকা বর্তমানের সম্পাদকের পদ সামলাচ্ছিলেন তিনি। বর্তমানের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর প্রয়াণের পর ২০০৮ সাল থেকে সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন শুভা দত্ত। তাঁর মতো সহানুভূতিশীল সম্পাদককে হারিয়ে শোকস্তব্ধ বর্তমানের কর্মীরা।
আদি বাড়ি বরিশালে। জন্ম এবং বেড়ে ওঠা কলকাতাতেই। পাঁচ ভাই-বোনের সর্বকনিষ্ঠা ছিলেন তিনি। বাবা স্বর্গত নির্মলানন্দ সেনগুপ্ত। মা স্বর্গতা রানী সেনগুপ্ত। স্বামী প্রয়াত কুশল দত্ত। সংসার সামলানোর পাশাপাশি একটি মন্টেসরি স্কুলের শিক্ষয়িত্রী ছিলেন তিনি। বরুণ সেনগুপ্ত ছিলেন তাঁর প্রিয় মেজদা। যাঁকে নিয়ে ওই ‘মেজদা’ শিরোনামেই বই লিখেছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের ১৯ জুন বর্তমান-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বরুণ সেনগুপ্তর প্রয়াণের পর পত্রিকার দায়িত্বভার কাঁধে নেন শুভা দত্ত। তার আগে থেকেই অবশ্য তিনি পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময়কালে বর্তমান-এর মাসিক পত্রিকা ‘সুখী গৃহকোণ’-এর সম্পাদনা করতেন। বরুণবাবু যে উচ্চতায় বর্তমানকে নিয়ে গিয়েছিলেন, দক্ষতার সঙ্গে সেই সাফল্য ধরে রাখেন তিনি। আমৃত্যু তিনি কাগজ, ম্যাগাজিন সহ সমগ্র পত্রিকা গোষ্ঠীর প্রধান সম্পাদক ছিলেন। শুভা দত্তর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বর্তমান পরিবার।