এবার জেলায় জেলায় কন্যাশ্রী কলেজ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত নভেম্বর মাসে রাজ্য বিধানসভায় কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাশ হয়েছে। কৃষ্ণনগর কলেজের বাড়তি জমিতেই ওই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার জেলায় জেলায় কন্যাশ্রী কলেজ তৈরি করে নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক কন্যাসন্তান দিবস উপলক্ষে এক ট্যুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘বাংলার সরকার ২০১৩ সালে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করে। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রথম পুরস্কার পায় এই প্রকল্প। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মেয়েদের স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে সাহায্য করছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। এখনও পর্যন্ত ৬০ লক্ষ ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। প্রকল্পের সূচনা থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মোট বাজেট ৭০০০ কোটি ছাড়িয়েছে। বাংলার সরকার নদীয়া জেলায় কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ছে। এছাড়া, জেলায় জেলায় কন্যাশ্রী কলেজ তৈরি করা হবে’।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ অক্টোবর পর্যন্ত কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতাভুক্ত হওয়ার জন্য ১ কোটি ৫৫ লক্ষ ১২ হাজার ৮০৬ জন ছাত্রীর আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে আবেদন গৃহীত হয়েছে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৮৩টি। ইতিমধ্যেই ৬০ লক্ষ ছাত্রীকে কন্যাশ্রী প্রকল্পে অনুদান দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের অনুদান পাওয়া ছাত্রীদের পড়াশোনায় সুবিধা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য বাল্যবিবাহও বন্ধ করা গিয়েছে। রাজ্য সরকার ১৪ আগস্ট কন্যাশ্রী দিবস পালন করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্নের প্রকল্প দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। স্কচ অ্যাওয়ার্ড সহ মোট আটটি পদক রাজ্যে এসেছে।
এবার ২০১৩ সালের ৮ মার্চ শুরু হওয়া এই প্রকল্পের সাফল্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে একে ব্র্যান্ডিং করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুর সময় বাজেট ছিল ৫০০ কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার কোটি টাকা।