বুধবার বিশাখাপত্তনমে শুরু হচ্ছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে প্রথম টেস্ট। তবে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যেতে পারে। কারণ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। টেস্টের পাঁচ দিনই বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা যথাক্রমে ৪০ এবং ৫০ শতাংশ।আগামীকাল সম্ভবত দুই স্পিনারে খেলতে নামবে ভারত, এমনটাই জানা যাচ্ছে।
প্রথম টেস্ট নিয়ে বেশ উত্তেজিত ঋদ্ধিমান সাহা। ছর নয়েক আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এমনই এক সিরিজের প্রথম দিন আলোচনায় উঠে এসেছিল রোহিত শর্মা ও ঋদ্ধিমান সাহার নাম। নাগপুরের জামথায় প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয় ঋদ্ধিমানের। ম্যাচের দিন সকালে প্র্যাক্টিসে রোহিত চোট পাওয়ায়।সেই দক্ষিণ আফ্রিকা বদলে গিয়েছে। অনেক বদলে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়াও। কিন্তু কাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন টেস্টের সিরিজে শুরুর আবহে আলোচনায় সেই রোহিত আর ঋদ্ধি। দুই স্পেশ্যালিস্ট পজিশন ওপেনার ও উইকেটকিপারের জায়গায় রোহিত আর ঋদ্ধি খেলবে কি না, তা নিয়েই আলোচনা।
সোমবার অনুশীলনের পর গিয়ে সহ- অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন টেস্টের সিরিজ। এরপর বাংলাদেশ আসছে দু’টি টেস্ট খেলতে। এই দু’টি সিরিজ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত। তাই পাঁচটি টেস্টেরই গুরুত্ব অসীম। টেস্ট জেতা এবং ড্র করার মধ্যে অনেক ফারাক। দুই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হোম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কথা মনে রেখে দেশের মাটিতে যত বেশি পয়েন্ট তুলে নেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তবে বৃষ্টি অন্তরায় হলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে যখনই খেলা হবে তখনই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে রাখার জন্য বাড়তি তাগিদ দেখাতে প্রত্যেকে প্রস্তুত। আমরা দুই পেসার এবং দুই স্পিনার নিয়েই খেলব।’ যার অর্থ, চার জন স্পেশালিস্ট বোলার নিয়ে খেলবে ভারত। ছয় নম্বরে ব্যাট করবেন হনুমা বিহারী। পাশাপাশি তৃতীয় স্পিনারের কাজটি করবেন তিনি। এদিন রাহানে আরও বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এবি ডি’ভিলিয়ার্স নেই। তবুও আমরা হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। ওদের দলে মার্করাম ও ডু’প্লেসির মতো খেলোয়াড় আছে। তাই দক্ষিণ আফ্রিকাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। লড়াই করার মতো রসদ ওই দলে আছে।’
এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে বিশাখাপত্তনমে ওপেন করতে যাওয়ার কথা রোহিতেরই। টিমের ভাইস ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানের কথায় তেমনই ইঙ্গিত। রাহানের বক্তব্য খুব স্পষ্ট, ‘রোহিত প্রচুর পরিশ্রম করছে। আমার বিশ্বাস, সুযোগ পেলে ও নিশ্চয়ই সেটাকে কাজে লাগাবে। আমি নিশ্চিত, ও সফল হবে।’আসলে সাদা বলে রোহিতের পারফরম্যান্স নিয়ে কারও মনে কোনও দ্বিধা নেই। কিন্তু লাল বলে সে ভাবে সফল নন তিনি। ২০১৩ সালে অভিষেক হওয়ার পর খেলেছেন মাত্র ২৭টি টেস্ট। মিডল অর্ডারে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন ওপেনিংয়ে লোকেশ রাহুল ব্যর্থ হওয়ার ফের সুযোগ এসেছে। রাহানে যদিও বলছেন, ‘রোহিতের কোয়ালিটি সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। ও সব সময়ই স্পেশ্যাল।’ কিন্তু রাহানে মুখে যাই বলুন, রোহিতের হয়তো টেস্টে টিকে থাকার শেষ সুযোগ এই সিরিজেই। পৃথ্বী শ শাস্তি কাটিয়ে ফেরার মুখে। প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল, অভিমন্যু ঈশ্বরনরা টেস্ট ওপেনার হওয়ার দরজায় ভালো ভাবেই কড়া নাড়ছেন।