মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের মুখে শারদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে ইডি-র এফআইআরের বিরুদ্ধে মুখ খুলল শিবসেনা। গোটা ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত কার্যত পাওয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘যখন ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি হয়েছে, সেই সময় এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার ক্ষমতায় ছিলেন না’।
অনেকেরই ধারণা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসিপি প্রধানের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের ঋণ-দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি-কে বেকায়দায় ফেলতে পারে। কারণ মারাঠা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় নেতার জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা মারাঠা ভাবাবেগ উসকে দিতে পারে। মারাঠারা রাজ্যের সব জাতিগত সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে সব থেকে বড়। সম্ভবত সে কথা মাথায় রেখেই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত কার্যত পাওয়ারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছেন, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে মোদী সরকার। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণেই এতদিন বিরোধী নেতাদের নিশানা করা হচ্ছিল। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন শারদ পাওয়ার। ’ পাওয়ারের পাশে দাঁড়িয়েছেন আন্না হাজারেও। তিনি বলেছেন, ‘যে নথি প্রকাশ পেয়েছে তা থেকে স্পষ্ট, শারদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ নেই। যা প্রমাণ রয়েছে তা অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে। তাহলে এনসিপি প্রধানকে ডাকা হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন উঠছেই।’
উল্লেখ্য, অক্টোবরের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ও শিবসেনার জোট লড়বে কংগ্রেস-এনসিপি জোটের বিরুদ্ধে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-র দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশে ইডি কাজ করছে। এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। দু’দিন আগে সমবায় ব্যাঙ্কের ২৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে শারদ পাওয়ার ও তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ইডি। তারপর শারদ নিজে থেকেই শুক্রবার ইডি দফতরে যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু যাওয়ার আগেই ইডি-র তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় তাঁকে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘এক্ষুনি আসার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হলে তদন্তকারীরাই আপনাকে ডেকে নেবে।’