বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে দ্রুত গলছে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের হিন্দুকুশ পর্বতের বরফ। যার জেরেই বাড়তে শুরু করেছে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগরের জলস্তর। আর তাই অস্তিত্ব সংকটের মুখে কলকাতা শহর। বন্যায় ডুবে যেতে পারে কলকাতা। মুম্বই।
খুব বেশি সময় নেই। জলবায়ু সম্মেলনের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মোটামুটি ২১০০ সালের মধ্যেই এই কাণ্ড ঘটে যেতে পারে। কারণ, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে হিমালয় এবং হিন্দুকুশ পর্বতের বরফ অতিরিক্ত মাত্রায় গলতে শুরু করেছে। মানুষ নিজেদের সুবিধার্থে, একের পর এক প্রক্রিয়া অবলম্বন করে প্রকৃতিকে আঘাত করছে। তার ফল আমাদের পেতেই হবে।
এমনকি, উদ্বেগজনক মাত্রায় গলতে শুরু করেছে লাহুল-স্পিতি হিমবাহ। এখনই প্রায় দুই তৃতীয়াংশ গলে গিয়েছে হিন্দু-কুশ পর্বতের হিমবাহ। আর এরকম ভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই হিমবাহের গলন সম্পূর্ণ হবে আর তাতেই তলিয়ে যেতে পারে দেশের বড় শহরগুলি।
গোটা দেশেই ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে মেট্রো শহরগুলিতে এই পরিস্থিতি বেশি তৈরি হয়েছে। তার অন্যতম কারণ মাত্রাতিরিক্ত জনবসতী এবং সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি। সেই কারণে পানীয় জলের সংকট দেখা দিচ্ছে ভারতে। সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার কারণে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মহানদীর বদ্বীপ ক্রমশ ডুবে যেতে বসেছে। নদীর মিষ্টি জলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে সমুদ্রের নোনতা জল। পানীয় জলের সংকট তাই আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারতের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ শহর সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে। কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, কোচি, সুরাট, বিশাখাপত্তনম ইত্যাদি। অবস্থা সবচেেয় উদ্বেগজনক। এই শহরগুলি একেবারে সমুদ্রের উপকূলে রয়েছে। তাই বরফ গলে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেলে ভারতের উপকূলীয় শহরগুলি তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল।