ফের এনআরসি-তে নাগরিকত্ব হারানোর আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন শ্যামল রায় এক ব্যক্তি। তিনি জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির বাসিন্দা ছিলেন। জানা গেছে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে নাম তোলার জন্য প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করতে না পেরে মঙ্গলবার সকালে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪২ বছরের শ্যামল রায়।
পুরনো নথি জোগাড় করতে কিছুদিন ধরেই প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছিলেন শ্যামলবাবু। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও পুরনো নথি সংগ্রহ করতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি। এ রাজ্যে এনআরসি হলে তাঁর নাম বাদ পড়তে পারে, এই আতঙ্ক ক্রমশ গ্রাস করে তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হলেন তিনি। ধুপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী ময়ান্তি রায়। এর আগে ময়নাগুড়িতেও এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যা করেন অন্নদা রায় নামে এক ব্যক্তি।
আসামে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। আতঙ্ক বাড়ছে এই রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতেও। এরই সঙ্গে অনুঘটকের মতো কাজ করেছে বিজেপি নেতাদের ক্রমাগত হুঁশিয়ারি যে বাংলাতেও এনআরসি করা হবে। যথাযথ নথি না থাকলে নাগরিকত্ব হারানোর ভয় পাচ্ছেন অনেকে। এরইমধ্যে জেলাজুড়ে আধার কার্ড-সহ একাধিক পরিচয়পত্র সংশোধনের কাজ শুরু হয়েছে। রোজ দীর্ঘ লাইন হচ্ছে সেখানে। সকলেই চাইছেন, পূর্বপুরুষদের নথি সংগ্রহ করতে, যা এনআরসি’র সময়ে পেশ করতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু সেখান থেকেও অনেককে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। এর জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যেই ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তারই মধ্যে ধূপগুড়িতে শ্যামল রায়ের মৃত্যুতে আরও দীর্ঘ হল তালিকা।