এনআরসি আতঙ্ক তাড়া করছে বাংলার মানুষের মনে। সবসময় রাজ্যে এনআরসি চালু হতে পারে এই আতঙ্কতেই প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে অনেক মানুষের। এইবার সেই তালিকায় পেশায় চাষী মন্টু মণ্ডলের নাম। এমনই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। ঘটনাটি বসিরহাট মহাকুমার মাটিয়া থানা দক্ষিণ কৃপালপুরের।
প্রসঙ্গত, বছর ৩৬ এর মন্টু মন্ডল বেশ কয়েকদিন ধরে জমির দলিল উপযুক্ত নথি কাগজপত্র নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। কয়েকদিন ধরে বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে বসিরহাট দু’নম্বর বিডিওর কাছে এসেছিলেন। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ৭১ সালের পরে উপযুক্ত নথিপত্র না থাকায় আতঙ্ক চিন্তা দুর্বিষহ করে তুলেছিল মন্ডল পরিবারকে। তাঁর স্ত্রী মিনারা বিবি ছোট তিনটে কন্যা সন্তান ও এক ছলে সহ কৃষক পরিবারে একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি ছিলেন মন্টু। উপযুক্ত কাগজ পত্র না মেলায় মন্টু মন্ডলকে সারা রাত্রি ধরে চিন্তা আতঙ্ক ভয় গ্রাস করেছিল বলে দাবি পরিবারের।
শনিবার সকাল বেলাতেও স্ত্রী মিনারা সঙ্গে উপযুক্ত নথিপত্র নিয়ে কথা বলছিল। কথা বলতে বলতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। সংসারে একমাত্র রোজগার শেষ সম্বল টুকু শেষ হয়ে গেল। চাষীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে এলাকায় শোকের ছায়া। পরিবারের দাবি এনআরসির কারনে উপযুক্ত নথি জোগাড় করতে না পেরে দেশছাড়া হওয়ার আতঙ্কেই মৃত্যু হয়েছে মন্টুর। এইভাবে চাপিয়ে রাজ্যবাসীর কাঁধে এনআরসির মতো ইস্যু চাপিয়ে দেওয়ার ফলে যে সব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে তা যে নিন্দনীয় এমনই মনে করছেন দেশের ওয়াকিবহাল মহল।