এইদিন সন্ধে থেকে হটাৎই চাওর হয় যে বাবুল সুপ্রিয় কাছে ফেসবুকে ক্ষমা চান দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। সেই নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফেসবুক। প্রসঙ্গত, দেবাঞ্জন নামে একটি ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, আমার নিজেরে দোষী মনে হচ্ছে। আমার ব্যবহারের জন্য ক্ষমা করে দিন। কিন্তু ওই পেজটি দেবাঞ্জনের নয় বলে দাবি করল তাঁর সংগঠন ইউএসডিএফ।
অতিবাম সংগঠনটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আজ বিকেল নাগাদ কিছু গণমাধ্যমের মারফত জানতে পারি যে আমাদের কমরেড দেবাঞ্জন বল্লভ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাভিক্ষা চেয়েছেন। আমরা সমস্ত গণমাধ্যমকে জানাচ্ছি, ওই পোষ্ট সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও কমরেড দেবাঞ্জনের নামাঙ্কিত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ভুয়ো। দেবাঞ্জনের নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছে, দেবাঞ্জন কোনওভাবেই ক্ষমাভিক্ষা চাননি। কারণ দেবাঞ্জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এনআরসি সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলেন। যা করার সম্পুর্ণ অধিকার তাঁর আছে।
শুধু তাই নয়, বরং অতিবাম সংগঠনটির দাবি, দেবাঞ্জনের মায়ের ক্ষমা চাওয়া সেই ছবি আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় গুজরাট দাঙ্গার সময়কার কুতুবউদ্দিন আনসারির কথা, যিনি হাত জোড় করে নিজের প্রাণ ভিক্ষা চাইছিলেন। মনে করিয়ে দেয় আখলাক থেকে তাবরেজ আনসারির প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ছবিকে।
বাবুল সুপ্রিয় ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ দেবাঞ্জনের সংগঠনের। তাঁদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গণপিটুনির হুমকি ও প্ররোচনা দিয়ে চলেছেন। প্রকাশ্যে ভালো মানুষ সাজার অভিনয় করে চলেছেন। আমরা ধিক্কার জানাই দাঙ্গাকারীদের চক্রান্তকে। ধিক্কার জানাই সন্ত্রাস সৃষ্টির প্রচেষ্টাকে। এই নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক সে নিয়ে চলছে দ্বন্দ্ব।