ক্রিকেটে এন শ্রীনিবাসনের প্রশাসনিক দক্ষতা ও কাজের পরিধির কথা কারোর অজানা নয়। তবে বর্তমানে কিছুটা হলেও অন্তরালে চলে গেছেন তিনি। লোধা কমিটির সিদ্ধান্তের জেরে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নতুন রায়ে ভারতীয় ক্রিকেট রাজনীতিতে আবার উঠে এল এন শ্রীনিবাসনের নাম।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে, সত্তরোর্ধ্বরা পদাধিকারী না হতে পারলেও তাঁদের ভোটদানের অধিকার থাকবে। ইতিমধ্যেই সিএবি-সহ বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। শ্রীনিরই রাজ্য তামিলনাড়ু গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে, পদাধিকারী হতে পারবেন না কিন্তু সত্তরোর্ধ্বদের ভোটদানের অধিকার থাকবে। পাশাপাশি, এই আদেশ যদি বলবৎ থাকে, তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে এটাই যে শ্রীনিবাসন বোর্ড বা রাজ্য সংস্থার কোনও পদে থাকতে পারবেন না। কিন্তু তিনিই তাঁর রাজ্য সংস্থার মুখ হিসেবে।
বোর্ডের নির্বাচনে ভোট দিতে আসতে পারেন। ভারতীয় ক্রিকেটমহলে বলাবলি হচ্ছে যে, তার মানেই শ্রীনিবাসন একেবারে ক্রিকেট রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবেন না। তিনি প্রভাবশালী পদে না থেকেও বোর্ড রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের মতো জায়গা তৈরি করতে পারেন। এই রায়কে স্বাগত জানালেন সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘সত্তরোর্ধ্ব সদস্যেরা ভোটাধিকার না পেলে কাদের নিয়ে সংস্থা চালাতাম। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করব আর কোনও সমস্যা হবে না।’