নরেন্দ্র মোদী পরিত্যাগ করেছেন যশোদাবেনকে। লোকপ্রচার এমনই। কিন্তু যশোদাবেনের মনের মণিকোঠা জুড়ে শুধুই নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রমাণই পাওয়া গেল আরও একবার। প্রধানমন্ত্রীর ৬৯ তম জন্মদিনের প্রাক্কালে আসানসোলের কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে এসে নিঃশব্দে পুজো দিলেন মোদীর ‘স্ত্রী’ যশোদাবেন। টের পাননি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও।
ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন যশোদাবেন। ধানবাদ থেকে তিনি যান ঝাড়খণ্ডের কাতরাশে। সেখানে একটি রাম মন্দিরে পুজো দেন। তারপরই সেখান থেকে আসনসোলে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে পুজোর সব আয়োজন করা হয়েছিল। মোদী ও নিজের নামে পুজো দিয়েছেন যশোদাবেন।
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগে লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দিনও নরেন্দ্র মোদীর জন্য উপবাস করতে দেখে গিয়েছিল যশোদাবেনকে। সেও স্ত্রী হিসাবেই। কিন্তু তার পরেও কোনও স্বীকৃতি জোটেনি তাঁর। উল্টে বারবার হেনস্থা হতে হয়েছে। মোদীর সঙ্গে বিয়ের প্রমানপত্র দেখাতে পারেননি বলে খারিজ হয়ে গিয়েছিল যশোদাবেনের পাশপোর্ট আবেদন। ঘটনায় ভয়ানক ক্ষুব্ধ হন মোদীর ‘স্ত্রী’। শেষ পর্যন্ত আরটিআই-এর দ্বারস্থ হন তিনি।
কিন্তু এত কিছুর পরেও যশোদাবেন ভারতীয় নারীর মতোই এখনও নিজেকে ‘মোদীর স্ত্রী’ মনে করেন। মোদী প্রকাশ্যে স্বীকৃতি দিন-আর-নাই-দিন, পতির পূণ্যে সতীর পূণ্য মেনে আজও তিনি পুজো দেন, উপবাস রাখেন মোদীর জন্য, তাঁর ‘স্বামী’র জন্য।