গত শনিবার হিন্দী দিবসে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিত শাহ বলেছিলেন, সারা ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে হিন্দী ভাষা। তারপরেই এই মন্তব্য নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক শুরু হয়। দেশের প্রতিটি রাজ্যে বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে এর বিরোধিতা করে। এমনকি দক্ষিণী বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পাও অমিত শাহের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। আর গতকাল এই বিতর্কে মুখ খুললেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি টুইট করে বলেন, ভারতে অনেক ভাষা চালু আছে, তা দেশের দুর্বলতা নয়।
এদিন তিনি পরিষ্কারভাবে জানান, ভারতে প্রায় ১৩০০-এর বেশি ভাষা আছে। তার মধ্যে ২২ টি ভাষা সরকারি কাজে ব্যবহৃত হয়। এটা দেশের দুর্বলতা নয়, বলা উচিত এটাই দেশের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। এর পরে তিনি ২২ টি ভারতীয় ভাষার একটি তালিকা দিয়েছেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র রাজীব শুক্লা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ভারতের সরকারি ভাষা হল হিন্দি। আমরা চাই, এই ভাষা বিকশিত হোক। কিন্তু অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাগুলিকেও উৎসাহ দেওয়া উচিত।
পরে তিনি বলেন, ভাষা নিয়ে কোনও লড়াই হওয়া উচিত নয়। তাঁর কথায়, হিন্দী বিকশিত হতে চলেছে। কিন্তু এই ইস্যুকে ভোটে জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। গত শনিবার কংগ্রেস বলে, আমাদের সংবিধান প্রণেতারা ত্রিভাষা সূত্র তৈরি করেছিলেন। তাকে পরিবর্তন করতে যাওয়া ঠিক নয়। আর রাহুলের এই বক্তব্যে সেই কথাই আরও বেশি করে স্পষ্ট হল।